মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা–মরার লড়াইয়ে দারুণ এক জয় নিয়ে সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। এখন পরের ম্যাচটি জিততে পারলেই ২০০৯ সালের পর প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চারে ওঠার লক্ষ্য পূরণ হবে। আর সে লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ । এই গ্রুপে ভুটানই একমাত্র দল, যারা এখনো পয়েন্টের দেখা পায়নি। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শক্তিশালী লেবানন। ৩ করে পয়েন্ট বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের। ভুটান ম্যাচ সামনে রেখে গতকাল সোমবার বেঙ্গালুরুর স্পোর্টস হল ক্লাব মাঠে অণুশীলণ সেরেছে জামাল–জিকোরা। তবে অনুশীলন হয়েছে হালকা। রিকভারি, জাগলিং, পাসিং এবং হালকা শুটিং প্র্যাকটিস সেরেছেন খেলোয়াড়রা।
অনুীশলন শেষে জামাল ভুইয়া বলেন দলের মধ্যে দারুন এক বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে। এখন আমরা সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছি। মাঝশাঠে তপু বর্মন, সোহেল রানা এবং রাকিব হোসেনের রসায়নটা বেশ কাজে দিচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচেই এক একরকম ভারসাম্য খুঁজে নিতে হয়। শেষ ম্যাচে আমরা চার জন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেছি। সত্যি বলতে আমরা স্ট্রাইকার ছাড়া খেলেছি। আমি খেলেছি ফলস নাইন হিসেবে। ২০১০ সালে স্পেন এভাবে খেলেছিল। আসলে আমাদের বল পায়ে রেখে খেলতে হবে। মাঝমাঠে আমরা যারা খেলছি, তারা সবাই বল পায়ে রাখতে পারি। এজন্য ফাহিম, রাকিব ওরা ভালো খেলার বলের যোগান পেয়েছে। আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে।
মালদ্বীপ ম্যাচের জয়ের আনন্দে ভেসে যেতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। দুই ম্যাচ হেরে আসা ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে তাই সতীর্থদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কুফল বুঝিয়ে দিলেন লেবানন ম্যাচের উদাহরণ টেনে। তিনি বলেন সবসময় পাল্টা আক্রমণে গেলে হবে না। তাহলে খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে যাবে। আমি নিজেও এ কথা বলেছি। কোচও বিল্ড আপ, পজেশনভিত্তিক ফুটবল এবং প্রতি–আক্রমণনির্ভর ফুটবল বেশি খেলাতে চায়। আমরা নিজেরাও কথা বলেছি, যদি আমরা বেশি সময় বল পায়ে রাখতে পারি তাহলে বেশি আক্রমণের সুযোগ পাব।
আমরা আত্মবিশ্বাসী তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নই। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো নয়। লেবাননের বিপক্ষে আমরা শেষ দিকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভালো খেলেও হেরেছি। প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের মধ্যে পাসিং ফুটবল খেলছিলাম ভালোভাবে। ওই সময় লেবাননও একটু ক্লান্ত ছিল। কিন্তু ওই সময় আমার মনে হয়েছে, আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলাম বলে দুই গোল খেয়েছিলাম। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা খুবই ভয়ঙ্কর। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো, কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা থাকতে হবে।