ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে চট্টগ্রাম সম্ভাবনাময় : রাষ্ট্রদূত

চেম্বার ও ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যালায়েন্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৭ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম চেম্বার এবং ভিয়েতনামের ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যালায়েন্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। গতকাল বুধবার আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত ভিয়েতনামের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চট্টগ্রাম চেম্বারের বিজনেস নেটওয়ার্কিং মিটিংয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম একটি সম্ভাবনাময় স্থান। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সামনের দিনগুলোয় এটা বাড়বে। বাংলাদেশ উভয়দেশের মধ্যে ২০২১ সালে ২ বিলিয়ন ডলারের যে বাণিজ্য আশা করেছিলেন বৈশ্বিক মহামারীর কারণে তা পূরণ না হলেও সামনের দিনগুলোতে তা অর্জিত হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা চাইলে বিনিয়োগের মাধ্যমেই এই ঘাটতি দূর করতে পারে। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এ অংশগ্রহণের জন্য ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানান। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের আকাশপথে সরাসরি কোনো বিমান নেই। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-হ্যানয় সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে। যার ফলে গতি আসবে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্কে।
ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডু কিয়ক হাং বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখনও তথ্য ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থার উন্নয়নে তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া গার্মেন্টস, টেঙটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয়দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। আগামী বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। এই সম্পর্ককে সামনে রেখে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলকে ভিয়েতনামে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিভিসিসিআই) সভাপতি এসএম রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে সীফুড, লেদার ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে ভিয়েতনামে। এ ছাড়া কৃষি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ওমর হাজ্জাজ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাবেক পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব ও মাহফুজুল হক শাহ এবং অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার ড. আবু নূর রাশেদ আহমেদ। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর ও মো. ইফতেখার ফয়সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারি কনসাল মো. সোলায়মান আলম শেঠ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও ক্লিফটন গ্রুপের পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, অ্যাটাচে ও রাষ্ট্রদূতের পিএস নগুয়েন ভিয়েত আনহ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত হচ্ছে আধুনিক বাজার ভবন
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের জ্ঞানসমৃদ্ধ মানবিক মানুষ হতে হবে