দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের শোকসভা শেষে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার সময় নেতাকর্মীদের ভিড়ে কনভেনশন হলের দরজার কাচ ভেঙে আহত হয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ তিন–চারজন।
রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই নেতাকর্মীরা তাকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার মাথায় চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ সময় অল্পের জন্য রক্ষা পান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতা।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর কাজির দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার থেকে বের হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা পরপর আ জ ম নাছিরকে ওআর নিজাম রোডের মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার সময় নাছিরের পেছনে থাকা নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ আজাদীকে বলেন, শোক সভা শেষে কাদের ভাইকে নিয়ে নাছির ভাই বের হওয়ার সময় নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়িতে দরজার গ্লাস ভেঙে নাছির ভাইয়ের মাথায় পড়েছে। প্রচুর রক্ত পড়েছে। এ সময় পুলিশসহ
আমরা সাথে সাথে গাড়িতে তুলে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসি। চারটি সেলাই হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন যেহেতু হেড ইনজুরি, অবজারভেশনে রাখতে হবে। সেলাই শেষে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কাদের ভাই নাছির ভাইয়ের একটু পেছনে থাকায় আল্লাহর রহমতে অসুবিধা হয়নি। নাছির ভাই ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনের শরীরে ভাঙা কাচের টুকরো পড়ে আহত হয়েছেন। গ্লাস পড়ে ডা. শফিউল আজম ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জুর কান কেটে গেছে। জামালখান ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মাসুদের হাত কেটে গেছে। আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম আজাদীকে বলেন, আমরা কাদের ভাইকে নিয়ে বের হচ্ছিলাম। আমাদের আগে নাছির ভাই ছিলেন। হঠাৎ দেখলাম দরজার গ্লাস ভেঙে পড়ে নাছির ভাইয়ের মাথা কেটে গেছে। তখন সবাই তাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি। কাদের ভাইকে এয়ারপোর্টে তুলে দিতে এসেছি। এখন হাসপাতালে যাচ্ছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, নাছির ভাইকে আমরা সাথে সাথে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসি। মাথায় লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। রক্ত যাওয়ায় প্রেসার একটু কমে গেছে। কাচের টুকরো মাথার মাঝ বরাবর পড়েছে। তবে এখন একটু ভালো আছেন। এখন বাসায় নিয়ে এসেছে।
গ্লাস পড়ে হাত কেটে যাওয়া জামালখান ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন করিব মাসুদ বলেন, আমি নাছির ভাইয়ের ঠিক পেছনে ছিলাম। বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হুড়োহুড়িতে দরজার গ্লাস ভেঙে নাছির ভাইয়ের মাথার উপর পড়েছে। একই সাথে আমার হাতে পড়েছে। আমার হাত কেটে গেছে। এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি।












