কারিগরি শিক্ষার ক্যারিকুলাম শিল্পের সাথে সমন্বিত হওয়া আবশ্যক। বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম ছেলে–মেয়ের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। তাদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে সরকারের ভিশন–২০৪১ অর্জন সম্ভব। উন্নত বিশ্বের মর্যাদা লাভ করতে হলে মাথাপিছু আয় উন্নীত হতে হবে ১২ হাজার ডলার। তার জন্য কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ‘এ্যাকসেলারটিং এন্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিল ফর ইকনমিক ট্র্যান্সফরমেশন (এসেট)’ প্রকল্পের পরিচালক আবু মমতাজ উদ্দিন আহমেদ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রকল্পের আওতায় সিএনসি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ভিশন–২০৪১ অর্জনে ২০৪১ সালে কারিগরি শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা হওয়া উচিৎ শতকরা ৯০ ভাগ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, উন্নত বিশ্বে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সরকার খরচ বহন করে। কিন্তু উন্নত শিক্ষা নিজের অর্থে পড়তে হয়। দেশে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বিপুল পরিমাণ। তাই উচ্চ শিক্ষার সাথে সাথে তাদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হলে দেশে–বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান পাওয়া সহজ হবে। বাংলাদেশ–কোরিয়া কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ নওরীন সুলতানা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র–ছাত্রীগণ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।