ভিডিও গেইম খেলছে ল্যাবে বেড়ে ওঠা মস্তিষ্কের কোষ

| শুক্রবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

ল্যাবরেটরিতেই মানব মস্তিষ্কের কোষ বড় করেছেন গবেষকরা। ৭০-এর দশকে নির্মিত টেনিস ধাঁচের ভিডিও গেইম ‘পং’ খেলে সংবেদনশীলতার প্রমাণও দিয়েছে সেই মিনি-ব্রেইন। পাঁচ মিনিটেই ভিডিও গেইম খেলতে শিখে গিয়েছিল ল্যাবে বড় হওয়া মস্তিষ্ক কোষ। খবর বিডিনিউজের।
কম্পিউটিং ডিভাইসের সঙ্গে মানব মস্তিষ্কের জ্যান্ত কোষ জুড়ে দিয়ে জৈবিক বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টির লক্ষ্য কাজ করছে কর্টিকাল ল্যাবস। সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী ‘নিউরন’ এর এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো গবেষণাগারে সংবেদনশীল মিনি-ব্রেইন তৈরির দাবি করেছেন কোম্পানিটির গবেষক ড. ব্রেট কাগান। অন্যান্য গবেষকরা কাগানের গবেষণার অগ্রগতিকে উত্তেজনাপূর্ণ বলে আখ্যা দিলেও, কোষগুলোকে সংবেদনশীল বলার বেলায় দ্বিধাবিভক্ত বলে জানিয়েছে বিবিসি। কিন্তু ড. কাগানের ভাষ্যে, ডিভাইসটির বর্ণনা দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো কোনো শব্দ খুঁজে পাইনি আমরা। বাহ্যিক উৎস থেকে তথ্য নিতে পারে এটি, সেই তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়াও জানায়।বাজারে বিদ্যমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সিস্টেমের চেয়ে দ্রুত শিখতে পারে মানব মস্তিষ্ক; মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতাও বেশি এর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, নতুন প্রজন্মের কম্পিউটারের জন্য এটাই কী আরও ভালো মডেল?
আসল উদ্দেশ্য কী : বিবিসি জানিয়েছে, এ প্রযুক্তি আলঝেইমারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহার করা যাবে বলে আশা করছেন ড. কাগান। তিনি বলেন, মানুষ যখন পেট্রি ডিশে কোষের দিকে তাকায়, তারা যা দেখে তা হচ্ছে এতে কোনো (রাসায়নিক) কার্যকলাপ হচ্ছে কি না? কিন্তু মস্তিষ্কের কোষের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করা।
এই কোষগুলোর মৌলিক ক্রিয়ায় উঁকি দিতে পারলে তাতে আরও অনেক গবেষণার পথ খুলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিরিয়ায় মিলিটারি বাস লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ, ১৮ সেনা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধপরমাণু বোমা হামলায়ও থাকবে অক্ষত আশ্চর্য বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রাশিয়ায়