অনিয়মতান্ত্রিক পন্থা বা ভিজিট ভিসায় কাজের লক্ষ্যে কেউ বিদেশ যেতে চাইলে তাদের বিমানবন্দরেই প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইমিগ্রেশন পুলিশ, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ বিমান, এয়ার এরাবিয়া, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, এপিবিএন, এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস এজেন্ট, স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের অফিস প্রধান উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার অভিবাসী সংক্রান্ত আইন, বিধি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ দপ্তর সমূহের কার্যক্রম এবং প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কার্যক্রমের বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় বিমানবন্দর সেবার মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ উত্থাপন করা হয়। সভায় ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বিশেষ করে ভিজিট ও ট্যুরিস্ট ভিসায় বহির্গমনের ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে গমনকারীর বাহ্যিক অবয়ব, পূর্বের বিদেশ ভ্রমণের তথ্য, বয়স, সামাজিক অবস্থা যাচাই পূর্বক শুধুমাত্র প্রকৃত ভিজিটর বা ট্যুরিস্টদের বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে এবং ভিজিট ভিসা ব্যবহার করে যেন কেউ কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমন করতে না পারে সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
আলোচনা শেষে অভিবাসী কর্মীর সাথে সকল সংস্থার শোভন আচরণ, অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়ম নীতি সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধিকরণ, অবৈধভাবে বিদেশ গমনের ঝুঁকি সম্পর্কে প্রচার, বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস ও শ্রমকল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে অভিবাসন সম্পর্কিত প্রচার, অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়মিত সভা আহ্বান, রিক্রুটিং এজেন্সি ও ট্রাভেল এজেন্সির সাথে নিয়মিত মতবিনিময় সভা আয়োজন, বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের বহির্গমন ও আগমনী কাউন্টার বৃদ্ধি ও ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে সকলের ঐক্যমত পোষণ করেন।
পরে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সকল সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে অভিবাসনবান্ধব বিমানবন্দরে রূপান্তরে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
