মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া আরো ১ হাজার ১১ জন রোহিঙ্গা গতকাল চট্টগ্রাম হয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের পতেঙ্গা বোট ক্লাব সংলগ্ন জেটি থেকে নানা বয়সী ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করে ভাসানচরে রওনা দেয়। গতকালের ১ হাজার ১১ জনসহ এই পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে।
জানা গেছে, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৩ হাজার একর আয়তনের ১২০টি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী। এখানে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করা হবে। সোমবার রাতে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাতযাপনের পর তাদের জাহাজে তোলা হয়।
নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে আরও ৯০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে।
রোহিঙ্গাদের জন্য বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনের প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভবন, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়, শিশুদের খেলার মাঠ ও বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হয়েছে ভাসানচরে।