চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল নাম নিলেই আমরা কম বেশি সবাই চিনি। শুধু চিনি বললেই ভুল হবে হাসপাতালের নাম নিলেই চমেক বা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এর পর চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল নামটি আমাদের মধ্যে আসে। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছর পার করবে কিছুদিন পর। ব্যক্তিগত ভাবে বলতে গেলে ২০২০ সাল থেকে আমি অনেকটা ওতপ্রোতভাবে হাসপাতালটিতে আসা যাওয়া করতাম। ২০২০ এর জানুয়ারিতে ১ম এসেছিলাম আমার মামা কে নিয়ে এরপর ২০২০ এর এপ্রিলে মাকে নিয়ে, যখন করোনায় পুরো বিশ্ব থমকে গেছে ঠিক তখনি মা মরণব্যাধী রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অনেক ঘুরেছি প্রাইভেটে ডা. দেখাবো বলে, পায়নি করোনার কারণে। মা অনেকটা মৃত্যুসম্ভাব্য হয়ে গেছিলেন তখন সবটুকু ভয়কে আঁকড়ে সবটুকু আশা নিয়ে এসেছিলাম চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে। ২ দিন পার হওয়ার পর ভয় কিছুটা কেটেছে মায়ের চিকিৎসা শুরু করে। এভাবে ২২দিন। এরপর পুরো ভয়টায় কেটে গেলো যখন দেখেছিলাম করোনাকালিন চিকিৎসায় ভয়ে কখনো এখানকার মানুষগুলো পিছু হঠেনি, অনেক সময় রাতে দেখতাম করোনা রোগী মারা যেতো কখনো কখনো রোগীদের সন্তানেরা কাছে আসতে চাইতো না কিন্তু হাসপাতালের কর্মীবৃন্দ কখনো পিছপা হয়নি। আরো দেখেছি অসহায় দুস্থ ও গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান। বর্তমানে হাসপাতালটিতে হচ্ছে ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, হয়তোবা ক্যান্সার রোগটির কথা শুনে চট্টগ্রামের মানুষকে চিকিৎসার ভয়ে আতকে উঠতে হবেনা। মনে একটা ভরসা পাবে উন্নত চিকিৎসার স্থান চট্টগ্রামেই আছে। হয়েছে ক্যাথল্যাব, হার্টের রোগীদের অনেক ভয়ে থাকতে হয় চিকিৎসা নিয়ে, চট্টগ্রামের মানুষগুলো হয়তোবা এই ভয়টা থেকেও কিছুটা স্বস্তি পাবে। আরেকটি ভালো লাগার বিষয় হলো সাধারণ মানুষ যখন সমস্যায় পড়ে অনেক আকুতি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে যান ঠিক তখনি তারা সাড়াদেন হোক রাত কিবা দিন। সবমিলিয়ে স্যালুট সেসব মানুষগুলোকে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই হাসপাতালের পদচালনা, স্যালুট তাদের যারা মানুষের দুঃসময়ে একটু ঠাঁই দিচ্ছেন, দিয়ে যাচ্ছেন। তদুপরি স্যালুট সেসব হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি ও পরিচালক প্রশাসন কে এবং ডাক্তার নার্স ও সকল কর্মীবৃন্দকে যারা করোনাকালিন সময়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রোগীদের সেবা দিয়ে গেছেন।