আমরা হয়তো জানি, আমাদের জীবনের সময় খুবই কম। এই অল্প সময়ে তাই আমাদের অপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত মানুষকে ভালোবাসার, মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকার। আত্মীয়– স্বজনদের পাশে থাকার, বন্ধু –বান্ধবদের আত্মার নিকটে থাকার। আপনজনের সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম অনুভূতিকে প্রাধান্য দেওয়ার। মানুষের জীবন এতো ঠুনকো ও ক্ষণস্থায়ী তা আমরা হয়তো বুঝে উঠতে পারি না। বুঝে ওঠার আগেই আমাদের হারিয়ে যেতে হয়। তাই বোধ কাজে লাগানো চাই। কে, কখন, কোন অন্ধকারে তলিয়ে যাবো নিমিষে ভাবলেই কি বুকের গভীরে ব্যথা অনুভব হয় না? অবশ্যই হয়। তবু আমরা এই হারিয়ে যাওয়াকে ভয় পাই না বা মনে রাখি না। আমাদের মনে ঈর্ষা কাজ করে, হিংসা কাজ করে। ছোট্ট একটা জীবনে আমরা আপনজনকে ঠকাই, মিথ্যা বলি,লোভ করি। আমরা যারা স্বার্থপর তারা ঠিকই দিন শেষে একা হয়ে যাই। কিছু মানুষ ভালোবাসার মূল্য বোঝে না। যখন বোঝে তখন আর করার কিছুই থাকে না, ফিরে আসার উপায় থাকে না।
আজ যদি পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাই আমরা জানি সঙ্গে কিছুই যাবে না। তবে পৃথিবীতে থেকে যাবে আমাদের সৎকর্মের উদাহরণটুকু। মানুষ অন্তত মায়ার সাথে মনে করবে আমাদের নাম। ভালোবেসে কেউ কেউ ফেলবে হয়তো ক‘ফোঁটা চোখের জল। মানব জীবনের সফলতা এখানেই। তাই মনে করি, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে মানুষকে ভালোবাসতে পারার চেয়ে, ভালোবেসে মানুষের পাশে থাকার চেয়ে বড় কোন সার্থকতা নেই।
লেখক : কবি–প্রাবন্ধিক