প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মানুষের শারীরিক মানসিক অসুস্থতা অসহনীয় পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।এই পরিস্থিতিতে মানুষ অপ্রকৃতস্থ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। এতে পরিবারের শান্তি সুখ বিনষ্ট হচ্ছে। পরিবার হয় অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে না নয় সন্তান হারা। আত্নহনন কখনো সঠিক সমাধান নয়। আমরা যদি শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাই তাহলে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে এবং নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে হবে। পৃথিবীর নানা জটিলতার সাথে লড়তে গিয়ে আমরা হতাশ হয়ে নিজের উপর বিরূপ আচরণ করি।
যা কখনোই উচিত নয়। জীবনকাব্যে সুখ দুঃখ দুটোই থাকবে। সাহস নিয়ে সবকিছুর মোকাবিলা করতে হবে। নিজে কি পছন্দ করেন কিংবা কি করতে ভালোবাসেন সেটা আবিষ্কার করুন। নিজের চাওয়াকে প্রাধান্য দিন। যদি নিজেকে ভালোবেসে সুন্দরভাবে নিজেকে গঠন করা যায় তবেই অপরের ভালো চিন্তা করতে পারবেন। আপনি যদি অসুখী থাকেন তাহলে অন্যকে সুখী করার সুযোগ নেই। মূলত অসুখী মানুষরাই অপরের সমালোচনা কিংবা ক্ষতি করে থাকে।
তাদের আচরণে সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। সমাজ সংসারে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাঁর সিংহ ভাগ ব্যক্তি জীবনে অসুখী ও উগ্র মেধার মানুষেরা ঘটায়। নিজের জন্য সমাজের জন্য ভালো করতে গেলে নিজেকে ভালোবাসুন নিজের শরীরের নিজের মনের যত্ন নিন। আমার পছন্দগুলো একান্ত আমার। তাই সচেতনভাবে নিজের পছন্দের মর্যাদা দিতে শিখুন। পরিবার থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সৃষ্টি। নিজে ভালো থাকি, পরিবারকে সুগঠিত করি এবং সমাজ তথা রাষ্ট্রের মঙ্গলে কাজ করি। আসুন নিজে সমৃদ্ধ হই অপরকেও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করি। একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।