ছোট্ট একটি শব্দ ‘মা’। একটি অদ্ভুত ভালোলাগার অনন্য এক শব্দ। শুধু আমার কাছে নয়, পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় শব্দ এটি। যার জন্য পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা। তিনিই হলেন মা। আমরা তিন ভাই বোন। আমি একমাত্র মেয়ে। তিনি আমার কাছে শুধু মা–ই নয়, বন্ধুর মতো। ভালো–মন্দ সবকিছুই মায়ের সঙ্গে শেয়ার করি। একমাত্র মা–ই আমার পথপ্রদর্শক। মা যেন এক বটবৃক্ষ। সন্তানের কাছে মা হচ্ছে একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মায়ের এতো কাছে থেকেও মাকে আজো বলা হয়নি– মা তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি। ভুলেও যদি কষ্ট দিয়ে থাকি আমায় ক্ষমা করে দিও মা।’ প্রত্যেক সন্তানের সবচেয়ে কাছের জন মা। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার মায়েরা সন্তানের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে থাকে। কেমন করে সে তার সন্তানকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে? যতই ঝড়তুফান হোক না কেন সন্তানের গায়ে একটা খোঁচাও লাগতে দেয় না। আমাদের বাঙালি মায়েরা তো এমনই। আসলে এমনই হওয়া উচিত। সন্তানের জন্য সব রকম ত্যাগ স্বীকার করে বসেন। একটি বটগাছের যেমন শাখা প্রশাখা থাকে আর সযতনে সেই বটগাছ তাদের আগলে রাখে ঠিক তেমনি একজন মা ও তার সব সন্তানকে সমান তালে মানুষ করেন। মায়েরা বোধহয় এমনি হয়। চব্বিশ ঘণ্টা সংসারে শ্রম দেয় শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের মুখে একটু হাসি দেখবে বলে। সযতনে আগলে রাখে। অথচ সেই ছেলেমেয়েরা যখন বড় হয়, নিজেদের মত চলতে শেখে তখন কেমন যেন মায়ের কাছ থেকে সরে থাকার মানসিকতা তৈরি হয় আপনা থেকেই। বৃদ্ধ বয়সে মা বাবা হয়ে উঠে সংসারের এক আবর্জনা। ভাগাভাগির যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কেন এতটা নির্দয় হয় ছেলেমেয়েরা? মা বাবা তো কখনো ভাগ করে তাদের মানুষ করেনি। এক বিছানায় সব সন্তানকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঘুমিয়েছে। সন্তানের ক্ষুধা মিটলেই যেন মায়ের প্রশান্তি। তবে সন্তানের দিকে কেন তার ব্যতিক্রম ঘটে? আজও মনে পড়ে তুমি কাকে বেশি ভালোবাসো? বাবা না মাকে? এই প্রশ্নটা ছোটবেলায় বেশ শুনেছি। হ্যাঁ, আমি বাবাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু আমার মাকে একটু বেশিই ভালোবাসি। আমার সবসময়ের হাসি, কান্নার, ভরসার প্রথম ও প্রধান আশ্রয় স্থল আমার মা। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।