ভালোবাসার টানে এবার খাগড়াছড়ি এলেন পাকিস্তানের এক যুবক। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার বেলছড়ি ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার আবুল হোসেনের মেয়ে তাহমিনা আক্তার বৃষ্টির সঙ্গে আট মাসের প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ককে পূর্ণতা দিতে পাকিস্তানের লাহোর শহরের বাসিন্দা আলিম উদ্দিনের ছুটে আসা।
সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তারা। বিষয়টি জানা জানির পর এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকে পাকিস্তানি নাগরিককে দেখতে ভিড় করছেন আলী হোসেনের বাড়িতে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৮ মাস আগে পরিচয় হয় বৃষ্টি ও আলিমের। পরিচয় থেকে মন দেয়ানেয়া হলে প্রেমিকার টানে বাংলাদেশে ছুটে আসে আলিম। গেল ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসেন আলিম। ১৯ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে কোর্ট ম্যারেজ করেন এবং ২২ ডিসেম্বর মাটিরাঙায় কনে বৃষ্টির গ্রামে সামাজিকভাবে বিবাহের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে পাকিস্তানি এ নাগরিক মাটিরাঙার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।
বৃষ্টির বাবা আবুল হোসেন জানান, ভিনদেশীর সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক প্রথমে মেনে না নিলেও পরে সবার অনুরোধ মানতে বাধ্য হয়েছেন। এখন মেয়ে ও মেয়ের জামাই বাড়িতে রয়েছেন। প্রতিদিন অনেকে জামাই দেখতে আসছেন।
পাকিস্তানি যুবক আলিম উদ্দিন জানান, বৃষ্টিকে ভালোবাসেন তিনি। তার পরিবার বৃষ্টির সম্পর্কে জানেন। প্রক্রিয়া মেনে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পাকিস্তান চলে যাবেন।
মাটিরাঙার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক ইসলাম জানান, পাকিস্তানি যুবক মাটিরাঙায় বিয়ে করেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে খবর নেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকের ভ্রমণ ও অবস্থানের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন নেয়ার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম।
