ভালোবাসার চেয়ে ভালো রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

সুব্রত কুমার নাথ | বুধবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ভালোবাসা অনুভূতিদ্যোতক একটি মাধুর্যময় শব্দ। এ শব্দটির মধ্যে অপরিমেয় শক্তি নিহিত আছে। হৃদয়ের তীব্র অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হলো ভালোবাসা। প্রকৃত ভালোবাসা প্রাপ্তিতে নয়, বিসর্জনে। অপরের কাজে নিজেকে নিবেদন করতে পারাই হলো ভালোবাসা। যে কারো প্রতি আন্তরিকতা প্রদর্শন, আনন্দ সংবাদে অভিনন্দন জানানো, সুখদুঃখের খোঁজ খবর রাখা, অন্যের দুঃখে অনুতপ্ত প্রকাশ করা ও শুভ বার্তায় শুভেচ্ছা জানানো এসব ভালোবাসার অন্যতম প্রকাশ। ভালোবাসার শক্তি দিয়ে সবকিছু আয়ত্তে আনা যায়। সত্যিকারের ভালোবাসা হচ্ছে নিঃস্বার্থ আত্মদান। এতে থাকে না কোনো শর্ত, কোনো প্রত্যাশা। প্রিয়জনের সুখেই নিজের সুখ খুঁজে পায় ভালোবাসার মানুষ। তবে, ভালোবাসার চেয়ে যেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো প্রিয়জনকে ভালো রাখা। ভালোবাসতে জানলেও কিন্তু কয়জনে প্রিয় মানুষকে ভালো রাখতে পারে। ভালোবাসা আর ভালো রাখা এক কথা নয়। ভালোবাসা হলো অনুভূতি আর ভালো রাখা হলো সেই অনুভূতির প্রকাশ ও যত্ন। ভালো রাখা মানে সহমর্মিতা প্রকাশ। তাকে ভালোবেসে অন্তরে স্থান দিয়ে তার জন্য কিছু করতে পারা। তার মনের ভাবনাগুলো উপলব্ধি করা। প্রিয়জনের সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু ভালোবাসা প্রকাশই যথার্থ নয়, যদি তার প্রতি বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, গভীর মনোযোগ ও তার ভালোলাগাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তবেই হবে প্রিয়জনকে ভালো রাখা। ভালোবাসা মানে অনুরাগ যা আবেগ, রাগ বা কষ্টেও অটুট থাকে। ভালোবাসা মানে অন্যের ভালোর জন্য নিঃস্বার্থভাবে চিন্তা করা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা। আর ভালো রাখার অর্থ হলো প্রিয়জনের সাথে খোলামেলা আলোচনা ও সমস্যাগুলো প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া এবং তার কথাও মনোযোগ দিয়ে শোনা। ভালো রাখার আরেকটি অপরিহার্য অংশ হলো প্রিয়জনকে বিশ্বাস করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধসমাজে অবহেলিতদের নাম ‘পথশিশু’