স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র ‘দৈনিক আজাদী’ আমার খুব প্রিয়। ১৯৬০ এর দশকে জন্ম হয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৬৩ তে পদার্পণ করলো। জন্মলগ্ন থেকে চট্টগ্রাম সহ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং মানুষের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে কথা বলে আসছে এই দৈনিক আজাদী। আজাদী আজ গৌরবের সাথে চট্টগ্রামের সংবাদপত্র জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্যের বিকাশ ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দৈনিক আজাদী। প্রতিদিন সময়পোযোগী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রদান করে আসছে। আমার যখন ৭/৮ বছর বয়স তখন হতে আজাদীর সাথে পরিচিতি। আমার বাবা ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। প্রতিদিন চাকরি শেষে বাড়িতে যাওয়ার পর বাবার হাতে ‘দৈনিক আজাদী’ পত্রিকাটি দেখতে পেতাম। সে সময় হতে আমি আজাদীর প্রতি দুর্বল। এখনো অফিসে প্রবেশ করার সাথে সাথে আজাদী পত্রিকাটি কাছে নিতে চেষ্টা করি। ২০০১ সালে ১৬ নভেম্বর উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী নাজিরহাট ডিগ্রি কলেজের আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী স্যারের হত্যার কিছুদিন পর ‘একটি নক্ষত্রের বিদায়’ শিরোনামে আমার একটি লেখা ছাপানো হয় আজাদীতে। সেদিন নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হয়েছিল এবং মনের অজান্তে সেদিন লেখাটিতে কতবার চোখ বুলিয়েছি আনন্দে তা জানা নেই আমার। গর্ববোধ করি, আজাদীর প্রতি ভালোবাসা ভালোবাসায় আজাদী’তে ১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে প্রকাশিত ‘আমার ভালোবাসা’ শিরোনামের লেখাটি ওয়াহিদ মালেকের সম্পাদনায় ‘৬০ বছরের দৈনিক আজাদী’ বইটিতে স্থান পাওয়ায়। আমার মতো লক্ষ পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দীর্ঘকাল আকাশ ছোঁয়া পাঠকপ্রিয়তা ও জনপ্রিয়তা নিয়ে ঠিকে থাকবে ‘দৈনিক আজাদী’ এবং এগিয়ে যাবে তার স্বাধীনতার চেতনাকে বুকে লালন করে।