ভালবাসা দিবস ঘনিয়ে আসতেই ভিড় বাড়ছে কক্সবাজারে

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার | শুক্রবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৯:৪৭ অপরাহ্ণ

ডিসেম্বর মাস থেকেই পর্যটকে সরগরম কক্সবাজার। শুক্রবার-শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এখানে পর্যটকের আনাগোনা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যায়।
সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতেও ৩০/৪০ হাজার পর্যটক থাকে কিন্তু বিশ্ব ভালবাসা দিবস বা বসন্তকাল যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে দেশের এই প্রধান অবকাশ যাপন কেন্দ্রে।
বিশ্ব ভালবাসা দিবস বা বসন্তকাল উপলক্ষে আগামী সপ্তাহে কক্সবাজারে আসার জন্য প্রায় ২ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে হোটেল বুকিং করেছেন বলে জানান কক্সবাজারের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান।
তিনি জানান, আগামী সপ্তাহের শুক্রবার অর্থাৎ ১২ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত কক্সবাজারের হোটেলে আগাম কক্ষ পাওয়া দুষ্কর। ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ উপলক্ষে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার জন্য প্রায় ২ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আগাম হোটেল বুকিং করেছেন।
কক্সবাজারের হোটেলে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। দুই ঈদ ছাড়াও খ্রিস্টাব্দের নববর্ষকে ঘিরে কক্সবাজারে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভিড় জমে। এসময় হোটেলে কক্ষ বরাদ্দ পাওয়া হয় কঠিন।
তবে এবছর বিশ্ব ভালভাসা দিবস উপলক্ষেও কক্সবাজারে এক বড় মিলনমেলা হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার।
তিনি বলেন, “বিশ্ব ভালবাসা দিবস বা বসন্তকাল যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে কক্সবাজারে। দেশের পরিস্থিতি শান্ত থাকলে এ বছর পর্যটকের আগমন রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে।”
কক্সবাজারের হোটেল মালিকরা জানান, বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও অনেকেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। মূলত ব্যক্তিগত উদ্যোগে বন্ধুবান্ধব নিয়ে হোটেল কক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিচ্ছেন পর্যটকরা।
ট্যুর অপারেটররা জানান, কক্সবাজার শহর ছাড়াও মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী, রামু ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আজ শুক্রবারও (৫ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনসহ জেলার ৭ শতাধিক হোটেলের প্রায় শতভাগ কক্ষ পর্যটকে পূর্ণ ছিল বলে জানান তারা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এখন লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছে কক্সবাজারে। আগামী শুক্রবার থেকে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আর তারই দিকে লক্ষ্য রেখে পর্যটন এলাকাসমূহে টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজারে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, “পর্যটকদের হয়রানি রোধে সৈকতসহ পর্যটন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় রয়েছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকার মেয়র প্রার্থী আকবরের ১৯ দফা প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে প্রেমিকের লাশ