মীরসরাই উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে ৭টি স্কুল ও মাদ্রাসা চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এর মধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে এক বছরেরও অধিক সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভারপ্রাপ্ত দিয়েই প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে মীরসরাই উপজেলায় ৫১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের বিধি রয়েছে কিন্তু ৭৭ উচ্চ বিদ্যালয়ের কোথাও এই পদের শিক্ষক নেই। ৪১টি উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই আইসিটি শিক্ষক। ২৬ টি উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই ক্রীড়া শিক্ষক। মোট শূন্যপদ রয়েছে ১৩৭টি। আবার দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চলছে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে–কমরআলী উচ্চ বিদ্যালয়, মেহেরুন্নেছা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়, ফাতেমা উচ্চ বিদ্যালয়, দুর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, শান্তিরহাট মাদ্রাসা ও বাড়িয়াখালী মাদ্রাসা। এছাড়া জোরারগঞ্জের জেবি উচ্চ বিদ্যালয় ট্রাস্টের অধীনে চলমান থাকলেও প্রধান শিক্ষক চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ সময়েও। মীরসরাই সদরস্থ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি এখনো সরকারি করার প্রক্রিয়াধীন। এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ উদ্যোগের সাথেই আমরা সহায়তা প্রদান করে থাকি, আবার বিধিমালা অমান্য করলে সেসব বিষয়ে ও শীঘ্রই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খিশা বলেন, ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলা ৬টি স্কুল–মাদ্রাসা এবং জেবি স্কুলের বিষয়ে আমরা তদন্তপূর্বক শীঘ্রই বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আর আইসিটি, ক্রীড়া ও শিল্প সংস্কৃতির শূণ্যপদসমূহের বিষয়ে নিয়োগ বিধিতে যোগ্যতম প্রার্থী প্রাপ্তি এবং বিদ্যালয়গুলোর যথাযথ উদ্যোগের বিষয়ে আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে সকল পদ পূরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আবার শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন স্ব স্ব বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি সচেষ্ট থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেই পড়ালেখার মানোন্নয়ন খুব সহজেই অগ্রগতি সম্ভব।