ইউক্রেন সংকটে এক সুরে কথা না বলা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে চলতি সপ্তাহে ভারতে নামার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিশ্চয়ই ঘরোয়া রাজনৈতিক সমস্যা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইবেন। ২০২০ সালের জুনে ডাউনিং স্ট্রিটে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজের দেওয়া কোভিড-১৯ লকডাউন নিজেই ভেঙে জরিমানা গোনা জনসনের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে। এ নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’ সঙ্গী করেই বৃহস্পতিবার তার ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ইস্টার উৎসবের ছুটির পর মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন ফের শুরু হবে, আর জনসন বলেছেন, তিনি ২০২০ সালের জুনে তার কার্যালয়ে জমায়েত প্রসঙ্গে ‘সত্য তুলে ধরবেন’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এর আগে আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে কোভিডের ওই রমরমা সময়ে তার কার্যালয়ে কোনো পার্টি হয়নি এবং সবসময় নির্দেশনা মেনে চলা হয়েছে। শনিবার জনসনের কার্যালয় জানিয়েছে, সম্পর্ক আরও গভীর করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দুই দেশের কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করবেন। একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতিও চাইবেন জনসন, ব্রেক্সিট পরবর্তী কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি করতে চাইছে।