ভারত ফেরতদের এখন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন

দুই হোটেল-আইসোলেশন সেন্টারসহ ৫ প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ, খরচ বহন করতে হবে নিজেকেই

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৮ মে, ২০২১ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ভারত ফেরত চট্টগ্রামের চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমন ধরা পড়ার পর নড়েচড়ে বসছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথমদিকে তাদের (ভারত ফেরতদের) নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে পাঠালেও এখন সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারত ফেরত সবাইকে এখন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। নিজ খরচেই তাদের এই কোয়ারেন্টাইন সময় পার করতে হবে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রাথমিক ভাবে দুটি হোটেল, আইসোলেশন সেন্টার ও হাসপাতালসহ ৫টি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণের কথা জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন খাওয়া-দাওয়াসহ সম্পূর্ন খরচ তাদের (ভারত ফেরত) নিজেদের বহন করতে হবে।
কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত দুটি হোটেলের মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন হোটেল আল ইমাম এবং স্টেশন রোডের হোটেল এলেনা। পাশাপাশি রেলওয়ে হাসপাতালটিও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও লালদিঘী এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আইসোলেশন সেন্টার এবং সাগরিকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটিও প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করা হবে।
চমেক হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- গত কয়েকদিনে ভারত থেকে ফেরা ৪২ জনের মধ্যে চার জনের করোনা সংক্রমন ধরা পড়ে। যদিও প্রথম দফায় র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে সবার নেগেটিভ আসে। পরে আরটিপিসিআর টেস্টে এই চার জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। যদিও কারো শরীরেই তেমন উপসর্গ ছিলনা। এর মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এবং একজন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি রয়েছেন। চারজনের দুই জন রোগী আর দুইজন রোগীর পরিবারের সদস্য। নেগেটিভ আসায় বাকিদের পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা জানান চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। অবশ্য, নতুন করে যারা আসবেন, তাদের সবাইকে এখন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এদিকে গত রোববার নতুন করে ভারত ফেরত আরো ৩ জন চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে কারো শরীরেই করোনা সংক্রমন পাওয়া যায়নি বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর। তবে আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য সোমবার তিনজনেরই নমুনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, মঙ্গলবার(আজ) হয়তো তাদের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
চমেক হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়- এ নিয়ে চট্টগ্রামের মোট ৪৫ জন বাসিন্দা সমপ্রতি ভারত থেকে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১৯ জন রোগী। আর বাকিরা রোগীর স্বজন। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তারা ভারত গিয়েছিলেন। এ ৪৫ জনের মধ্যে ৭ জন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন চমেক হাসপাতালে এবং বাকি একজন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্ঘটনা কেড়ে নিল বাবা-মেয়ের প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধমাথাপিছু আয় বেড়ে ২২২৭ ডলারে উন্নীত