ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের ভেতরেও রয়েছে লড়াই

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ক্রিকেট বিশ্বের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত ও পাকিস্তান। এই দুই দলের লড়াই মানে বিশ্বেও ক্রিকেট প্রেমীদের দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া। আজ শনিবার যেমন আরো একবার ক্রিকেট বিশ্ব দুই ভাগ হয়ে যাবে। কারণ এই দিন যে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। দুই দলের এই বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচের আগে বার্তা সংস্থা এএফপি দুই দলের মধ্যকার আরো চার লড়াইকে সামনে নিয়ে এসেছে।

রোহিত বনাম শাহিন : সামপ্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির গতির সামনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা নিজেকে খুব একটা মেলে ধরতে পারেননি। গত মাসে পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে রোহিতের অফ স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাহিন। সে ম্যাচে মাত্র ১১ রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রোহিত। তবে কলম্বোতে পরের ম্যাচে রোহিত বেশ সাবধানে খেলেছেন। শাহিনের প্রথম ওভারে তার একটি ওভার বাউন্ডারিও ছিল। এই দুইজনের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। দুবাইয়ে শাহিন তার প্রথম ওভারেই পেস ও সুইং দিয়ে রোহিতকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন।

কোহলি বনাম রউফ : গত বছর মেলবোর্নে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে হারিস রউফের সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ভারতের সামনে জয়ের জন্য ১৮ বলে ৩১ রানের প্রয়োজন ছিল। রউফের ওভারে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে কোহলি এমসিজের স্টেডিয়াম ভর্তি পাকিস্তানী দর্শকদের নিশ্চুপ করে দিয়েছিলেন। এর মধ্য প্রথমটি ছিল গুড লেন্থের বল যেটাতে কোহলি স্ট্রেট খেলেছিলেন। এরপর ফাইন লেগ দিয়ে ফ্লিক করে পরের ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে কোহলি বলেছিলেন ছক্কাগুলো ছিল ‘সহজাত প্রবৃত্তি’। কিন্তু তারপর থেকেই রউফের সাথে কোহলির একটি ঠান্ডা লড়াই চলে আসছে যা আহমেদাবাদেও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাবর বনাম বুমরাহ : সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানী অধিনায়ক বাবর আজমের ক্ষমতা সম্পর্কে ভালই অবগত হয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ। ভারতীয় পেস আক্রমনে ‘ইয়র্কার কিং’ হিসেবে পরিচিত বুমরাহসহ অন্যান্য পেসারদের অনায়াসেই খেলে গেছেন বাবর। সাবলীল ব্যাটিং দিয়ে দুবাইয়ে তিনি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটের জয় উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছর পর বুমরাহ ও তার সতীর্থরা মিলে বাবর বাহিনীকে ভালই শিক্ষা দিয়েছে। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ২২৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায়। কলম্বোর ম্যাচটিতে বুমরাহর বেশ কয়েকটি ডেলিভারিতে বাবর খেলতে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাকিস্তানী অধিনায়ককে সাজঘরের পথ দেখিয়েছিলেন হার্ডিক পান্ডিয়া।

ইফতিখার বনাম কুলদীপ : মিডল অর্ডার পাকিস্তানী ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ মাঝে মাঝেই ব্যাট হাতে তার দক্ষতা দেখাতে পারদর্শী। কিন্তু গত মাসে এশিয়া কাপে ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদবের কাছে ২৩ রানে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন ইফতিখার। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ইফতিখারকে ফেরত পাঠান কুলদীপ। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদ্বীপ ঐ ম্যাচে ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। বোলারদের উপর ভর করে ভারত ১০০ রানের বিশাল জয় তুলে নেয়। ঐ ম্যাচটির স্মৃতি হয়তোবা ভারত ফিরিয়ে আনতে চাইবে আহমেদাবাদে। শনিবারের ম্যাচে ইফতিখারের মূল দায়িত্বই হবে মিডল অর্ডারে ভারতীয় স্পিনারদের প্রতিরোধ করা। একইসাথে স্কোরবোর্ডে রানের গতি সচল রাখা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা শুরু
পরবর্তী নিবন্ধব্রাদার্স-কোয়ালিটির পয়েন্ট ভাগাভাগি