ভারত থেকে হাসিনার বিবৃতি ভালো সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়

প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

| বৃহস্পতিবার , ১৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা বক্তব্য এবং সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘অতিরঞ্জিত’ খবরের কথা দেশটির হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার নজরে এনে তার প্রতিকার চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। হাই কমিশনার গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবং সাংবাদিকদের সামনে উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ে বৈঠকের নানা বিষয় উঠে এসেছে। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে যা ঘটছে, তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘খুবই অতিরঞ্জিত’ প্রচারপ্রচারণার বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুলে ধরেছেন। ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামপ্রতিক বিভিন্ন বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেছেন, ভারত থেকে আসা এ ধরনের বিবৃতি ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক নয়।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ, সে কথা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন। আসন্ন দিনগুলোতে ‘জনগণকেন্দ্রিক সম্পৃক্ততার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। সীমান্ত হত্যা বন্ধ, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতের মত প্রধান প্রধান বিষয়গুলো বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন তিনি।’ পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আসা নিয়ে এক প্রশ্নে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ বলেন, ‘আমি বলেছি, এটা সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। আমি তাকে বলেছি, সরকারের অবস্থানও এটাই।’ তিনি বলেন, একটা স্টেটমেন্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এসেছে, যেটা আসলে এই সরকারের জন্য স্বস্তিকর হচ্ছে না। আমরা চাই, তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার রোল নিয়ে আমি এটুকু বলেছি যে, এখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমরাও তদন্ত করছি। আমরা খবর নিয়েছি, এমনকি প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সমপ্রদায় এবং অন্যান্য সমপ্রদায়ের নেতাদের সাথে বসেছেন।

আমরা চাই, সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। কারও ওপর কোনো নৃশংসতা এই সরকার বরদাস্ত করবে না। যেটা হয়েছে, আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ যে প্রত্যেকটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তদন্ত করে যাকে দোষী পাওয়া যাবে, তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

হাই কমিশনারকেও একই কথা বলার কথা তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন বলেন, বলেছি যে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতীয় গণমাধ্যম এটাকে অতিরঞ্জিত করছে এবং অতিরঞ্জিত করে খারাপ পরিবেশ তৈরি করছে, এটা তাদের করা উচিত না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে : ফারুক ই আজম
পরবর্তী নিবন্ধচার দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও রোডমার্চ