ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ

| বুধবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ at ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ

ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডএনবিআর। গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে আগের প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কর আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, নতুন আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। খবর বিডিনিউজের।

২০২৪ সালের ২৯ অগাস্ট হওয়া আগের প্রজ্ঞাপনের আওতায় কাস্টমস বন্ড লাইসেন্স আছে এমন শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি করতে পারত; বাকিদের ক্ষেত্রে তখনও সুতা আমদানি বন্ধ ছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকলের জন্য একই বিধান হল; অর্থ্যাৎ এখন থেকে কেউ এসব স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি করতে পারবে না।

অন্যসব বন্দর দিয়ে আগে থেকেই সুতা আমদানি নিষিদ্ধ ছিল; ভারত থেকে মূলত বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী দিয়ে সুতা আমদানি হত। দেশীয় বস্ত্রকলগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ টেঙটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর দাবির প্রেক্ষিতে ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিটিএমএ প্রথমে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় এনবিআরে চিঠি দিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য সুতার বড় একটি অংশ আসে ভারত থেকে। মূলত বেনাপল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি সুতা আমদানি করে বাংলাদেশ। ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে সুতা বাংলাদেশ পাঠানো হয়। বেনাপল বন্দর দিয়ে আসা এসব সুতার দাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা সুতার দামের চেয়ে কম হয়। আর কম দামে সুতা আসায় দেশীয় বস্ত্রকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিটিএমএ’র অভিযোগ। ওই সুবিধার ফলে দেশের বস্ত্রশিল্প কারখানাগুলো ‘বড় ধরনের ক্ষতির’ মুখে পড়ছে বলে সংগঠনটির ভাষ্য।

স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানির সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এলসির পরিমাণের চেয়ে বেশি সুতা আনা হচ্ছে বলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছিল বিটিএমএ। একই যুক্তি দেখিয়ে চিঠি দেওয়া হয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকেও। এই প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সকল স্থল বন্দরকে চিঠি দিয়ে বলে, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডের শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিল্পী রাজন আর নেই
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমার থেকে ফেরা ২০ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর