অবশেষে তবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারলো আইসিসি। হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্টটি। যার অর্থ ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজক দেশ পাকিস্তানে নয় হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তবে এর জন্য ভারতকেও দায় চুকাতে হবে। ২০২৪–২০২৭ চক্রের মধ্যে ভারতে আয়োজিত আইসিসির টুর্নামেন্টে তাদের দেশে খেলতে যাবে না পাকিস্তান। খেলা হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। এই বিষয়টি নিয়ে আইসিসির বোর্ডে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো‘। ২০২৪–২০২৭ এই সময়ের মধ্যে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। ২০২৫ সালে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। ২০২৬ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যৌথভাবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হওয়ার কথা ১৯ ফেব্রুয়ারি। তবে ভেন্যু জটিলতায় এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিডিউল ঠিক করতে পারেনি আইসিসি। এখন হাইব্রিড মডেল হয়ে গেলে সেই জটিলতা কাটবে। তবে ভারতের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু কোনটি হবে, তার প্রস্তাবনা দেবে আয়োজক দেশের ক্রিকেট বোর্ড। ভেন্যুর অনুমোদন দেবে আইসিসি। আলোচনায় রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং শ্রীলঙ্কার নাম।
আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছিল টানাপোড়েন। ভারতের সরকার তাদের দলকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়াতেই সঙ্কটের শুরু। শেষ পর্যন্ত এখন একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারল দুই পক্ষ। গত এশিয়া কাপেও একই বাস্তবতা দেখা দিয়েছিল। ভারতীয় দল সেবারও পাকিস্তানে না যাওয়ায় ‘হাইব্রিড’ মডেলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হয়েছিল টুর্নামেন্ট। পরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে অবশ্য ঠিকই ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতেরও পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে কিছুটা সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু তাদের সরকার সেই পথ বন্ধ করে দেয়। এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে শুরুতে একদমই রাজি ছিল না পিসিবি। গোটা টুর্নামেন্টই পাকিস্তানে করতে বদ্ধপরিকর ছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে হলো তাদের। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা ওঠার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ভারতকে নিয়ে উদ্ভূত সঙ্কটে ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে টুর্নামেন্টের সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।












