ভারতে বসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্রে মেতেছেন হাসিনা

নগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে শামীম

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ভারতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাতের ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অসামপ্রদায়িকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। কিন্তু পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তির প্রত্যক্ষ মদদে তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা সামপ্রদাায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে এখন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলাভাঙচুর, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে’ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন। সমাবেশ থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নূর আহমদ সড়ক, লাভ লেইন মোড়, এনায়েত বাজার মোড়, জুবিলি রোড হয়ে রেয়াজুদ্দিন বাজার তিন পুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে মাহবুবের রহমান শামীম ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত ষোলটি বছর স্বৈরতন্ত্র বলবৎ রাখতে ভারত নগ্নভাবে আওয়ামী লীগকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এদেশের জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়া পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে; এতে এদেশের মানুষের মাঝে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট আরও তীব্র হয়েছে। এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক। এটা ভারতের শাসকগোষ্ঠী যত দ্রত অনুধাবন করতে পারবে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা মঙ্গল হবে।

হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, কোনো সভ্য দেশের মানুষ কখনো অন্য দেশের দূতাবাসে হামলা করতে পারে না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী, তাই সম্পর্কটাও হবে তেমন। কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে আমাদের রাজাপ্রজার সম্পর্ক হতে পারে না।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মুবিন ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিনার কাছে মাথা নত না করে ফাঁসিতে ঝুলেছে জামায়াতের নেতারা
পরবর্তী নিবন্ধসবজির কার্টনে ৫০ লাখ টাকার সমান রিয়াল ও দিরহাম