করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ২০২৩ জনের মৃত্যু দেখল ভারত। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে বেসামাল অবস্থার মধ্যে থাকা দেশটিতে আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড দু্ই লাখ ৯৫ হাজার ৪১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে। এই নিয়ে টানা সপ্তম দিন দেশটিতে দুই লাখেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হলো। খবর বিডিনিউজের। এদিন মৃত্যু ও নতুন সংক্রমণ এই দুই ক্ষেত্রে দেশটি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে আর মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বে মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেঙিকোর পর চতুর্থ স্থানে থাকলেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এ দেশটি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঘূর্ণিপাকে দেশটি হাবুডুবু খেলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যগুলোকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার শেষ অবলম্বন হিসেবে লকডাউনের শরণ নিতে বলেছেন। মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এমনটি বলেছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। লকডাউন থেকে দেশকে রক্ষা করাই এই সময়ের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। লকডাউনের মতো চূড়ান্ত ব্যবস্থায় যাওয়ার আগে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে আছে দেশটির ধনী রাজ্য বলে পরিচিত মহারাষ্ট্র। এরপর কেরালা, কর্নাটক, তামিল নাডু ও অন্ধ্র প্রদেশের অবস্থান। দেশটির রাজধানী অঞ্চল দিল্লির হাসপাতালগুলোতে অঙিজেন সংকট দেখা দিলেও শহরটির বেশ কিছু বড় হাসপাতাল অঙিজেন সরবরাহ পাওয়ার পর শঙ্কা কিছুটা কমেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।