সহিংসতায় রূপ নেওয়া একটি প্রতিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কিছু মুসলিমের বাড়িঘর ধ্বংস করে দিচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের কর্তৃপক্ষ। মহানবী হযরত মুহম্মদকে (সা.) নিয়ে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে ওই প্রতিবাদ হয়েছিল। লোকজন যানবাহন ও দোকানপাটে হামলা চালালে কিছু রাজ্যে এসব প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে। এ ধরনের কিছু ঘটনার পর উত্তর প্রদেশে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিডিনিউজের।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রোববার মুসলিমদের মালিকানাধীন তিনটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, এসব বাড়ি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। কিন্তু বাড়ির মালিকরা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এসব বাড়ি ধ্বংসের নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতারা। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু মুসলিম সমপ্রদায়কে লক্ষ্যস্থলে পরিণত করছে বলে অভিযোগ তাদের। আদিত্যনাথের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমারের একটি টুইটও ক্ষোভের কারণ হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে একটি ভবন ভাঙা হচ্ছে, এমন একটি ছবি টুইট করে তিনি লিখেছেন, অবাধ্যরা মনে রাখবেন, প্রত্যেক শুক্রবারের পর একটি শনিবার আসবে। জুমার নামাজের পর পাথর ছোড়ার অভিযোগ আছে এমন লোকজনের মালিকানাধীন দুটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় বাড়িটি রাজনীতিক জাভেদ আহমেদের, তিনিই ওই প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। জাভেদের কন্যা আফ্রিন ফাতিমা একজন বিশিষ্ট মুসলিম অধিকার আন্দোলনকারী। তিনি ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। এলাহাবাদ হাই কোর্টের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেছেন, জাভেদ আহমেদের বাড়ি ভেঙে ফেলা ‘পুরোপুরি অবৈধ’ ছিল।