ভারতে মুম্বাইয়ের জনসমাগমস্থলে কবুতরকে খাওয়ানো নিষিদ্ধ করে আদালতের নির্দেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষ, জনস্বাস্থ্যকর্মী ও পাখিপ্রেমীদের মধ্যে বিষয়টি বিস্ফোরণন্মুখ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলতি মাসে দুইবার পুলিশের সঙ্গে শত শত মানুষের সংঘর্ষ হয়েছে কয়েকদশক পুরনো একটি কবুতরখানা (কবুতরকে খাওয়ানোর স্থান) বন্ধ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে। একপর্যায়ে প্রতিবাদকারীরা সেখানে টাঙানো ত্রিপল ছিঁড়ে ফেলেন এবং অনশন ধর্মঘটের হুমকি দেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি লিখেছে, অন্য এক বিক্ষোভে প্রায় ১৫ জনকে আটকও করে পুলিশ।
স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই নিষেধাজ্ঞা : কর্তৃপক্ষ বলছে, কবুতরের বিষ্ঠা থেকে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে শুরু করে মারাত্মক রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু মুম্বাই নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশ, যেমন– ইতালির ভেনিসে ঐতিহাসিক চত্বরে কবুতরকে খেতে দেওয়া নিষিদ্ধ। সিঙ্গাপুরে কবুতর খাওয়ানোর জন্য বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও নির্দিষ্ট এলাকায় কড়াকড়ি রয়েছে। ভারতেও মহারাষ্ট্র রাজ্যের (রাজধানী মুম্বাই) পুনে ও থানেতে কবুতর খাওয়ানোর ওপর জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।