ভারতে ইলিশ পাঠানো বাংলাদেশের রপ্তানি নীতির পরিপন্থি দাবি করে সরকারকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী। জাতীয় মাছ ইলিশ ভারতে রপ্তানি বন্ধের দাবি জানিয়ে নোটিসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য
পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জণগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান গতকাল রোববার ডাকযোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ, পররাষ্ট্র, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে এ নোটিস পাঠান। খবর বিডিনিউজের।
ইলিশ দেশের জাতীয় মাছ হওয়ার পরও অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এ মাছ কেনার কথা ‘চিন্তাও করতে পারে না’ মন্তব্য করে উকিল নোটিসে বলা হয়, দেশের মধ্যবিত্ত জনগণও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের দাম গড়ে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া বাজারে পদ্মার সুস্বাদু প্রতি কেজি ইলিশের গড় দাম এক হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা, যা নদী থেকে সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়। ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে সেগুলো মূলত পদ্মার ইলিশ। ভারতে রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে পদ্মার ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না।
নোটিসে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাংলাদেশের বাজার দরের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে।
উকিল নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বিবাদীদের অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করা হয়েছে নোটিসে।












