ভারতের সম্ভাব্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত কয়েকজন কর্মকর্তা বুধবার পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনকে এমনটি জানিয়েছেন।
ডনের প্রতিবেদনে ওই কর্মকতাদের বরাতে বলা হয়েছে, লাদাখ ও ডোকলামে ‘অপমানজনক পরাজয়ের’ পর ভারত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) ওপর ও পুলওয়ামার বিদ্যমান সীমান্তের অপর পাশে পাকিস্তানি অংশে আরেকটি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করে কাশ্মীরের পাকিস্তান অংশে সন্দেহভাজন জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালানোর দাবি করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তখন ওই হামলাকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে অভিহিত করেছিল তারা; অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতেই আঘাত করা হয়েছে, আশেপাশে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কাশ্মীরের পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে ভারতের হামলার এ দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের কথিত জঙ্গি ঘাঁটিতে একই ধরনের হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। তবে ওই সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর গুলিতে দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয় ও ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে তারা। পরে অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা ডনকে বলেছেন, চলমান কৃষক আন্দোলনসহ বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বিশ্বের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিতে একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের’ পরিকল্পনা করছে ভারত। তারা এলওসি ও কার্যকরী সীমান্ত বরাবর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। ভারত ইতোমধ্যেই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বুধবার বিকালের দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশের কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণ হয়। এতে দুই পাকিস্তানি সৈন্য নিহত ও একজন বেসামরিক নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।












