ভারতের মর্যাদাপূর্ণ পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দর কাছ থেকে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।
তিনি ছাড়াও এই পুরস্কার পেয়েছেন আরো তিন বাংলাদেশী। তারা হলেন রবীন্দ্রসংগীত বিশারদ সনজিদা খাতুন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক এনামুল হক।
ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। ক্রীড়া, চিকিৎসা, শিল্প, সাহিত্য এবং অন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মোট ১১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তাদের অসামান্য কাজের জন্য ভারতের মর্যাদাপূর্ণ ‘পদ্ম পুরস্কার-পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। বাসস
কাজী সাজ্জাদ আলী জহিরের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীত বিশারদ সনজিদা খাতুনও ‘পদ্মশ্রী পুরস্কার-২০২১’–এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে জনসেবার (পাবলিক অ্যাফেয়ার্স) জন্য ২০২০ সালে মরণোত্তর পদ্মভূষণ সম্মাননা দেওয়া হয়। নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গত সোমবার মোয়াজ্জেম আলীর স্ত্রী তুহফা জামান আলী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-এর কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
একই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক এনামুল হক ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-এর হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন।
মোয়াজ্জেম আলী ২০১৪ সালে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হয়ে ভারতে আসেন। পাঁচ বছর পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। তিনি গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় মারা যান।
তিনি ১৯৭১ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। পরে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র।
