ভারতের জয়ে নেপথ্য গল্প সিরাজের

| মঙ্গলবার , ৫ আগস্ট, ২০২৫ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ না থাকায় ভারতীয় বোলিং ইউনিটের ‘অলিখিত’ নেতা বনে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। আচমকা কাঁধে এসে পড়া দায়িত্বটাও পালন করলেন রাজার মতো করে। রোমাঞ্চকর ওভাল টেস্টে ভারতের অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক শেষ ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া সিরাজ। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। খেলা শেষে ব্রডকাস্টারকে বলেছিলেন, ‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার।

তাতে আউট হলে হবে। রান হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’ কথা বলার সময়ও হাঁপাচ্ছিলেন সিরাজ। আনন্দে ঠিকঠাক কথা বলতেও পারছিলেন না যেন। গলা ধরে আসছিল। রোববার হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ ধরেও বাউন্ডারির দড়িতে পা দিয়ে ফেলেছিলেন। যার জেরে সমালোচিত হয়েছিলেন।

সিরাজের ধরা ক্যাচে ব্রুক আউট হয়ে গেলে টেস্টটা চার দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারতো। হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ মিস নিয়ে সিরাজ বলেন, ‘আমি ভাবিনি যে ক্যাচ ধরার সময় বাউন্ডারি কুশনে হাত লেগে যাবে। কিন্তু ওটাই ছিল ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। ব্রুক তখন টিটোয়েন্টি মেজাজে চলে গিয়েছিল। সেই সময় আমরা ম্যাচে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।’ আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি, যেকোনো অবস্থান থেকে আমি ম্যাচ জেতাতে পারি। আজ সকালেও ঘুম থেকে উঠে মনে হয়েছিল, আমি পারবো। গুগল থেকে একটা ছবি ডাউনলোড করেছিলাম যেখানে লেখা ছিল ‘বিলিভ’ বিশ্বাস করো।’ লর্ডস টেস্টে হারের পর রাতে ঘুমাতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন এই পেসার। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘লর্ডসে হারের পর খুব ভেঙে পড়েছিলাম। জাদ্দু ভাই (জাদেজা) তখন আমাকে বলেছিল নিজের ডিফেন্সে আস্থা রাখো, আর বাবাকে মনে করো, তার জন্য খেলো। সেটাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাঙা কাঁধ নিয়ে এক হাতে ব্যাটিংয়ে নামলেন ওকস
পরবর্তী নিবন্ধউইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ জয়