‘লড়াই করেই এতদূর আসা’, এই কথাটুকু দিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিম যেন বুঝিয়ে দিলেন জাতীয় দল থেকে তার দীর্ঘদিন দূরে থাকার হতাশা, ফিরে আসার জন্য মাঝের সময়ে চালিয়ে যাওয়া প্রাণান্ত চেষ্টা। এই ফেরা তিনি রাঙাতে চান ভারতের বিপক্ষে গোল করে। লাল–সবুজের জার্সিতে ইব্রাহিমের গোল খুব বেশি নয়, চারটি। সবশেষ ২০২২ সালের জুনে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এসে হঠাৎ ছন্দপতন, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফরের পর দলছুট হয়ে যান ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজেকে নতুন করে ফিরে পেতে ঘাম ঝরিয়েছেন প্রায় দেড় বছর। এ মৌসুমে আবাহনীর হয়ে আলো ছড়িয়ে ফিরেছেন জাতীয় দলেও। প্রিমিয়ার লিগে জালের দেখা পেয়েছেন তিনবার, ফেডারেশন কাপেও তিনি গোল করেছেন দুটি। ঘরোয়া ফুটবলের ছন্দ এবার জাতীয় দলে টেনে নিতে মুখিয়ে ইব্রাহিম। প্রতিপক্ষ ভারত বলে চাওয়াটা আরও তীব্র তার। ‘সল্টলেকে যে ম্যাচটা ২০১৯ সালে হয়েছিল (ভারতের বিপক্ষে), ওই ম্যাচেও ছিলাম। এবারও দলে আছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার লক্ষ্য আছে, ওই বার গোল করতে পারিনি, এই ম্যাচে গোল করে আত্মতৃপ্তি পাওয়ার। গোল পাওয়াটা আসলে টিম ওয়ার্কের উপর নির্ভর করে। আমরা সবাই চেষ্টা করব। সুযোগ যে পাবে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোচ যে পরিকল্পনা করেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করা।’ ইব্রাহিমেরও জানা, আক্রমণভাগে এবার জায়গা পাওয়ার পথটা তার জন্য মসৃণ নয় মোটেই। প্রিমিয়ার লিগে ৭ গোল করা আল আমিন, রাকিব হোসেনরা আছেন আক্রমণভাগে। তবে লেফট উইংয়ে ইব্রাহিমের মুল প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিরয়ার ইমন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বাস্তবতা বুঝেই ইব্রাহিম নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন। ‘দলের সবার অবস্থা ভালো। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে, অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। যদি সেরা একাদশে খেলতে পারি, ভালো লাগবে। যদি বদলি নেমেও খেলতে পারি, চেষ্টা করব দলে প্রভাব রাখার। সব জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। ওই চ্যালেঞ্জটা নিয়েই এতদুর আসা। দেখা যাক, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। যদি খেলতে পারি।’