ভারতের কারাগারে বন্দি থাকা ৯০ বাংলাদেশ জেলেকে মুক্তি দিয়ে আজ মধ্যরাতের পরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কাল বিকেল ৩ টায় তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছাবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পটুয়াখালী কারাগারে থাকা ৯৫ ভারতীয় জেলেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ৯৫ ভারতীয় জেলে ও নাবিককে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর এবং ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছ থেকে ৯০ বাংলাদেশী জেলে এবং নাবিককে আজ মধ্যরাতের পরে হিরণ পয়েন্টে গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ভারতে আটক বাংলাদেশের দুটি ফিশিং ভেসেল এবং বাংলাদেশে আটক ভারতের ছয়টি ফিশিং বোটও হস্তান্তরিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে আলোচনা করে দুই দেশের আটক জেলে ও নৌযানগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
জানা যায়, গত অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশের কারণে ৯৫ জন ভারতীয় জেলে এবং তাদের ছয়টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়। তাদেরকে বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলা কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে উক্ত ৯৫ ভারতীয় জেলে ও নাবিককে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে কোস্টগার্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার কাছে ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামে দুটি বাংলাদেশী ফিশিং ভেসেলসহ মোট ৭৮ জন আটক করা হয়।
এছাড়াও গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশী মাছ ধরার নৌকা ‘এফবি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। সেখানে থাকা ১২ বাংলাদেশী জেলে বা নৌকর্মীকে ভারত আটক করে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে তাদের কারামুক্তি দেয়া হয়েছে।
৭৮ বাংলাদেশী জেলে ও নাবিককে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পারাদ্বীপে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে এবং ১২ বাংলাদেশী জেলে পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে বন্দি আছেন। তাদেরকে ইতোমধ্যে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে দেয়া হয়েছে।
আজ বিকেল ৩ টা নাগাদ জেলে ও নাবিকসহ দুইটি ফিশিং ভ্যাসেল উড়িষ্যা থেকে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।