ভারত সরকারের ‘উপহার’ হিসেবে ২০ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা আগামীকাল ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসছে। স্বাস্থ্যসেবা সচিব আবদুল মান্নান গতকাল সোমবার রাতে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। এই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে সোমবার দুপুরে এই টিকা পাওয়ার খবর দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে বিস্তারিত জানাননি তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত থেকে উপহার হিসেবে আরও কিছু টিকা আসবে। এই উপহার হিসেবে কত টিকা আসছে সেই সংখ্যাটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সংখ্যাটি ভালোই।’ খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালান ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সরকারের কেনা টিকার আগে উপহার হিসেবে পাওয়া টিকা ভারত থেকে আসবে। সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘উপহার হিসেবে যে টিকা পাওয়ার কথা, সেটা আসছে বুধবার। ২০ লাখ ডোজ পাচ্ছি আমরা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা। আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি আছে এই টিকা তার অতিরিক্ত। এটা আসছে এটা আমরা কনফার্ম। তবে বুধবার আসতে পারে। দুয়েকদিন দেরিও হতে পারে। ভারতের হাইকমিশনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। চিঠিতে এরকমই বলা আছে। হয়ত ২১ তারিখও হতে পারে।’
এদিকে করোনার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে জনসাধারণকে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ভারতসহ কয়েকটি দেশে টিকাদান শুরু হয়েছে। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। করোনার ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেটা আছে, সেটি গুরুতর নয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। এ জন্য আমি মনে করি, জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যেন তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া যায়, এ কারণে হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্র করা হচ্ছে।’