ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন

আজাদী প্রতিবেদন

যোগ ব্যায়াম ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ : ডা. রাজীব রঞ্জন | শনিবার , ২২ জুন, ২০২৪ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে নানা বয়সী ৮শ’ যোগব্যায়ামে উৎসাহীকে নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক ১০তম যোগ দিবস। যোগ দিবসে শিশু থেকে শুরু করে নগরীর সিনিয়র সিটিজেনরাও অংশ নেন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইয়োগা ফর সেলফ অ্যান্ড সোসাইটি’ বা ‘যোগ নিজের এবং সমাজের জন্য’। গতকাল ২১ জুন শুক্রবার বিকালে টাইগারপাসে নেভি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রামের যোগব্যায়াম উৎসাহীদের সাথে এ দিবস উদযাপন করা হয়।

চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, যোগ ব্যায়াম ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি। যোগব্যায়াম বিশ্বের কাছে ভারতের একটি উপহার। কিন্তু এটি এখন সকলের দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এইভাবে এটি একটি সাধারণ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, যোগের অনুশীলন তার তিনটি স্তম্ভ আসন (শরীরের ভঙ্গি), প্রাণায়াম (শ্বাসের ব্যায়াম) এবং ধ্যান যোগের মাধ্যমে মন এবং শরীরকে একীভূত করে আধুনিক সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে এবং এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি শান্ত, সৃজনশীল এবং তৃপ্তিপূর্ণ জীবন যাপন করার উপায় হল যোগ। এটি উত্তেজনা এবং মানসিক উদ্বেগকে পরাস্ত করার পথ দেখাতে পারে।’

যোগ দিবসে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে যোগ অনুশীলন করা হয়। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এবং এই জাতীয় সমস্ত সংস্থাকে বাংলাদেশে সুস্থ জীবনের উপায় হিসাবে যোগকে প্রচার করার জন্য এবং যোগের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি, সমপ্রীতি, প্রেম এবং আধ্যাত্মিকতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে, যোগব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালিত হয়।

যোগ দিবসে চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহানি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, সমাজসেবক রফিক আহমদ, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, . নিছার উদ্দিন মঞ্জু, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, শিপার্স কাউন্সিলের লোকপ্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যক্তিগত রাজনীতির সাথে উপজেলার কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক থাকবে না
পরবর্তী নিবন্ধনারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন