বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছিল ভারত। বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ৯টি ও সেমিফাইনালসহ টানা ১০ ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকে ফাইনালে নাম লেখায় স্বাগতিকরা। তাদের এমন দাপুটে পারফরম্যান্সের অন্যতম খুঁটি ছিল ব্যাটিং লাইন। বোলারদের বেশ শাসন করেছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে সেই ব্যাটিং ফাইনালে দেখাতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা। ভালো শুরুর পরও ব্যাটিং ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়াকে ২৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত।
রোববার (১৯ নভেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অজি বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। তবে দলীয় ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন শুভমান গিল।
গিলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি। রোহিতের সঙ্গে কোহলিও চড়াও হন অজি বোলারদের ওপর। তবে দলীয় ৭৬ রানে ফের উইকেট হারায় ভারত। ৩১ বলে ৪৭ রানের মারমুখি ইনিংস খেলে আউট হন রোহিত। এরপর ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান শ্রেয়াস আইয়ার।
দলীয় ৮১ রানে ৩ বলে ৪ রান করে আউট হন আইয়ার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লোকেশ রাহুল। তাকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন কোহলি। ৫৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন কোহলি। তবে এরপরেই আউট হন তিনি।
দলীয় ১৪৮ রানে ৬৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হন কোহলি। এরপর ক্রিজে আসা রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন রাহুল। ৮৬ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। তবে সুবিধা করতে পারেননি জাদেজা। দলীয় ১৭৮ রানে ২২ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুতই তিন উইকেট হারায় ভারত।
রাহুল ১০৭ বলে ৬৬, মোহাম্মদ শামি ১০ বলে ৬ ও ৩ বলে রান করে সাজঘরে ফিরে যান জাসপ্রীত বুমরাহ। একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন সূর্যকুমার যাদব। তবে দলীয় ২২৬ রানে ২৮ বলে ১৮ রান করে আউট হন যাদব।
শেষ ব্যাটার হিসেবে কুলদ্বীপ যাদব আউট হলে ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক।