চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে ৩ উইকেট নিয়ে দিনটা ভালই শুরু করেছিল বঅংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় বলেই এসেছিল সুযোগ। কিন্তু গ্লাভসে বল জমাতে পারেননি সোহান। পরে আরও দুই দফায় ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সঙ্গে যোগ হয় স্টাম্পে বল লাগার পরও বেলস না পড়ার দুর্ভাগ্য। তাই দিন শেষে ৬ উইকেট নিতে পারার স্বস্তির সঙ্গে তাইজুল ইসলামের আক্ষেপ, ভারতকে প্রথম দিনেই অলআউট করা যেতো।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে তিনটি ক্যাচ ছাড়ে বাংলাদেশ। এছাড়া নেয়নি একটি রিভিউ। একবার পড়েনি বেলস। তবু দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। ভারতের মতো দলের প্রথম দিনে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া স্বস্তির বটে। তবু রয়েছে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার অস্বস্তিও। ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। পাঁচ নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন রিশাভ পান্ত।
অন্যপ্রান্তে চেতেশ্বর পুজারার দৃঢ়তায় ওই সেশনে পড়েনি আর কোনো উইকেটের। লাঞ্চ বিরতির পর ইবাদত হোসেনের ওভারের দ্বিতীয় বল পুজারার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পেলেও গ্লাভসে রাখতে পারেননি সোহান। পুজারা তখন খেলছিলেন ১২ রানে। তিনি পরে যোগ করেন আরও ৭৮ রান। দিনের খেলা শেষে ভারতের একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে রয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাকে দুইবার জীবন দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩০ রানে সাকিবের বলে কট বিহাইন্ডের হাত থেকে বাঁচেন শ্রেয়াস। ক্যাচটি খুব একটা সহজ ছিল না। পরে ৬৭ রানে আবারও সুযোগ দেন শ্রেয়াস।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। কিন্তু সীমানায় দাঁড়িয়ে সহজতম ক্যাচটি নিতে পারেননি ইবাদত। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় বেঁচে যাওয়া পুজারা ও শ্রেয়াস পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৪৯ রানের জুটি। ক্যাচগুলো নিতে পারলে এত বড় জুটি হতো না। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন প্রথম দিনেই ভারতকে অলআউট করা সম্ভব ছিল। ১০-১৫ ওভার থাকতেই হয়তো পারতাম ।
তখন পাঁচ-ছয়টা উইকেট পড়ে যেত, যদি আমরা সুযোগগুলো নিতে পারতাম। অলআউট করা সম্ভব ছিল। অবশ্য ক্যাচের বাইরে শ্রেয়াসকে সরাসরি ‘বোল্ডও’ করেছিলেন ইবাদত। বল স্টাম্পে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে জিং লাইট জ্বলে ওঠে। নড়ে ওঠে বেলসও। কিন্তু স্টাম্প থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি কাঠের বেলসের চেয়ে তুলনামূলক ভারী এই বেলস। ৭৭ রানে ফের বেঁচে যান শ্রেয়াস। নিজের বলে আকসার প্যাটেলের বিপক্ষে রিভিউ নেওয়ার প্রসঙ্গে তা্ইজুল বলেন যারা উইকেটকিপার বা সিলিতে থাকে তারা তো কাছে থাকে। এরা আসলে আওয়াজটা ভালোভাবে পায়। কোনটা ব্যাটে আর কোনটা প্যাডে লেগেছে। তাদের একটা মতামত নেওয়া হয়। অনেক সময় বোলারেরও নেওয়া হয়। কারণ বোলার সোজা থেকে ভিউটা ভালো বোঝে। অবশ্য আকসারের রিভিউ না নিলেও দিনের শেষ বলে তাকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মিরাজ।