নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় প্রবাসী বড় ভাইয়ের বাসা থেকে ১০ ভরি ৪ আনা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ১ হাজার ৬০০ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৯ হাজার) চুরির ঘটনায় ছোট ভাই মিজানুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুরি করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও দিরহামগুলো শ্বশুর বাড়িতে রেখেছিল মিজানুর রহমান। ডুপলিকেট চাবি দিয়ে প্রবাসী বড় ভাইয়ের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে ঢুকে ছিল ছোট ভাই মিজানুর রহমান।
প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী সাইফা হায়াত (৩২) গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় কাজ শেষে বাসায় ফিরে চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তার স্বামীর ছোট ভাইয়ের চুরির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে চুরির ঘটনায় দেবরের বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা করেন সাইফা হায়াত।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, বাদীর স্বামীর ছোট ভাই মিজানুর রহমান ১২ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ৮টায় বাদীর পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন ২নং গেইট মেয়রগলি ইসলামী ব্যাংকের পাশে মা নূর মঞ্জিলের (২য় তলা) ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে ৯টা ৪মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এ সময় বাসার আলমিরার ড্রয়ার থেকে প্রায় ১৫.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ১৫ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ৬০০ দিরহাম (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৯ হাজার) চুরি করে নিয়ে যান। চুরি করে স্বর্ণ বিক্রির টাকা শ্বশুর বাড়িতে রেখেছিলেন মিজানুর রহমান।
ভাবীর দায়ের করা মামলায় পাঁচলাইশ মডেল থানার এসআই মো. আল–আমিন খান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রহমান নগর বি–ব্লক এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শ্বশুর বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় আসামি তার নিজ হাতে বাসা থেকে র্স্বণের ১টি নেকলেস, ১টি ব্রেসলেট, ১ জোড়া কানের দুল, ১টি আংটি, যার ওজন ২ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ বের করে দেন।
পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আল–আমিন খান গত ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) অভিযুক্তকে আদালতের আদেশে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোডে চিটাগাং টাওয়ারের (১১তম তলা) আলমারীর ড্রয়ার থেকে আসামির দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরর্তীতে আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকার কাজিরহাটস্থ চর রাঙ্গামাটিয়া স্কুলের পাশে চট্টল সুন্দরী জুয়েলার্সে অভিযান পরিচালনা করে ওই দোকানে বিক্রিত চোরাই ৪ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের গলানো পাত উদ্ধার করা হয়। এরপর আসামির শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আসামি কর্তৃক চোরাইকৃত অপর স্বর্ণ বিক্রিত দোকান কোতোয়ালী থানাধীন কে.সি.দে রোডস্থ বিনোদনী মার্কেটের ইকোনমিক জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত ৪ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের গলানো পাত উদ্ধার করা হয়। অভিযানে মোট ১০ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও গলানো স্বর্ণের পাত, নগদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিকে পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।