ভাঙা সংযোগ সড়কে পাটাতন দিয়ে ব্রিজ পারাপার, ভোগান্তি

মহালছড়ির মুবাছড়ি ইউনিয়ন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে বন্যায় ভেঙে যাওয়া ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কার না হওয়ায় মহালছড়ি উপজেলার সাথে মুবাছড়ি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা কাঠের পাটাতন তৈরি করলেও ইজিবাইক ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে বিপাকে পড়েছে ইউনিয়নের অন্তত কয়েকশ গ্রামের মানুষ।

চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়িতে চার দফায় বন্যা হয়। সবশেষ ভয়াবহ বন্যায় মহালছড়ি উপজেলার সাথে মুবাছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র গ্রামীণ সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ি ঢলে কালভার্টের দুই পাশে অন্তত ৫০ ফুটের বেশি অংশ কাপ্তাই লেকে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা কাঠের পাটাতন দিয়ে পারাপার করছে। সরু পাটাতনের উপর মোটরসাইকেল এবং ইজিবাইক ছাড়া কোন যানবাহন চলছে না। এরপর থেকে শুরু হয় ভোগান্তি। বিপাকে পরে ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সড়কে চলাচলকারী অংশুইপ্রু মারমা, রত্মউজ্জ্বল তালুকদার ও নেমরা মারমা বলেন, যখন পানি উঠেছিল তখন রাস্তাটি ভেঙে গেছে। এখানে চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আগে ট্রাক, ভ্যান, কারসহ বড় গাড়ি চলাচল করত। এখন এসব কিছু চলে না। কোন রকমে হেঁটে পার হতে হচ্ছে। আর কত দিন এভাবে চলবে? এখনই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু না করলে আমাদের ভোগান্তি কমবে না।

বন্যায় কালভার্টের সংযোগ সড়কের পাশাপাশি সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটিতে চলাচল উপযোগী করার জন্য মেরামতের দাবি স্থানীয়দের।

মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ভাঙনকবলিত এলাকায় একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রিজের নকশায় ক্রটি থাকায় তা পুনরায় প্রস্তত করার কাজ চলছে। ব্রিজ নির্মাণের পাশাপাশি সড়কটিও নতুন করে নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডির খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা। তিনি বলেন, সড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়। যে ব্রিজের ডিজাইন দিয়েছে সেটা হলে ব্রিজসহ ভেসে যাবে। তাই পুনরায় ব্রিজ ডিজাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নকশা পেলে দরপত্র আহ্বান করা হবে। সড়কটিও নতুন করে মেরামত করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুর্নীতি ও পাচার করা অর্থের নথি নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী
পরবর্তী নিবন্ধএবার আমনে ৩০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন