মীরসরাই উপজেলার সর্ব দক্ষিণের জনপদ সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ের মধ্যবর্তী সীমান্তে কয়েকটি ভাঙাচোরা সড়কের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সাতবাড়িয়া গ্রামের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়াহেদপুর টু হাইতকান্দি ও সাহেরখালী ইউনিয়নের জনগণের ভোগান্তি বেশি। আবার সীতাকুণ্ড উপজেলার বগাচতর, বালিয়াদীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তিও যেন সীমাহীন। সরেজমিনে দেখা গেছে, মীরসরাই উপজেলার সর্ব দক্ষিণের জনপদ সীতাকুণ্ড নিকটবর্তী বড় দারগোহাট টু কমরআলী–সাহেরখালী বেড়িবাঁধ সড়কটি মীরসরাই উপজেলার ১৪নং হাইতকান্দি ইউনিয়নেরই বৃহৎ অংশ। আবার ১৬নং সাহেরখালীর অংশে পড়েছে ভূঁইয়ারহাট ও সমিতির হাট এলাকা। এই অঞ্চলের সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এই অঞ্চলে অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। সড়কের কয়েকটি অংশে কার্পেট উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, সিএনজি, পিকআপ, মাইক্রো, হাইস ও মিনিবাস চলাচল করে। কিন্ত কোন কোন অংশে কংক্রিট পাথর, ইট উঠে যাওয়ায় চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
জনৈক পথচারী নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকালে এই রাস্তায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা–যাওয়া অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে পড়ে। ভাঙাচোরা রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে। শিল্পজোনের অনেক গাড়ি আগে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো; তবে এই র্দুদশার জন্য অন্যপথে যাচ্ছে ওরা। কমরআলী বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী হারাধন চক্রবর্তী বলেন, বিশেষ করে এই রাস্তা কোন মুর্মূষু রোগী বা গর্ভবতী মহিলাদের চলাচলের অনুপোযোগী।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, এই সড়কটি মীরসরাই উপজেলা এলাকায় হলেও সীতাকুণ্ড উপজেলায় এলজিইডির কোন বড় সড়ক না থাকায় পূর্বের সরকারের আমলে এটিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার এলজিইডির অধীনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আলমগীর বাদশা বলেন, কমলদহ থেকে কমরআলী ভায়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৭ হাজার ১৪০ মিটার (প্রায় সোয়া ৭ কিলোমিটার) সড়কটির উন্নয়ন প্রস্তাবনা ডিপিজি তালিকাভুক্তিতে প্রক্রিয়াধীন। বাজেট অনুমোদন ও বরাদ্ধ পেলেই কাজ শুরু করবো আমরা। সড়কে র্দুদশার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সড়কটির দুর্দশায় সাধারণ মানুষ প্রকৃতই ভোগান্তি পোহাচ্ছে। তিনিও এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।