রাঙামাটি জেলার ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার এসব বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলায় মোট ৭০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত কয়েকদিনের বর্ষণে ভূমি ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে রাঙামাটি সদরে ৮টি, কাউখালী ৪টি, নানিয়ারচর ৪টি, বরকল ৭টি, জুরাছড়ি ১১টি, বাঘাইছড়ি ১৪টি, কাপ্তাইয়ে ১টি, রাজস্থলী ১০টি এবং বিলাইছড়ি ৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, পাহাড়ি জায়গায় নির্মাণ করা এসব বিদ্যালয় ভবনের ধারক দেয়াল না থাকায় ভবনের পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে কিছু কিছু ভবনে। এতে করে বিদ্যালয়ের নিচু অংশে বসবাসকারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে পানি উঠে আসবাবপত্র ও একাডেমিক বিভিন্ন কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
রাঙামাটি পৌরসভার পুলিন বিহারী দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপিন চাকমা, পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিংকোচি মগ ও রাঙামাটি সদরের বরাদম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিপি চাকমা জানান, তাদের প্রত্যেকের বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। ধারক দেয়াল না থাকায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পাশে ধস হওয়ার ফলে মাটি সরে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পাঠদান ব্যাহত হওয়াসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনকি ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনাও।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভারি বর্ষণে জেলার ৬৪টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে এবং কিছু কিছু বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পাশে মাটি সরে গিয়ে ভবনের দেয়াল এবং পিলারের ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।
রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় সংস্কার বা মেরামতে যদি আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়, আমরা জরুরি ভিত্তিতে অবশ্যই করে দেব। তিনি জানান, এলজিইডি বর্তমানে জেলার বিভিন্ন স্থানে টেকসই আধুনিক স্কুল ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে।