রাঙ্গুনিয়ায় ভাগে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। শুধু বিক্রি নয়, সেই পশু শরীয়তসম্মতভাবে একজন মৌলভি দিয়ে জবেহ করে মাংস ক্রেতাদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়। চার বছর ধরে এভাবে ব্যতিক্রমী আয়োজনে কোরবানে পশু বিক্রি করে আসছে রাঙ্গুনিয়া এএনবি এগ্রো। প্রতিটি গরুকে ৭টি ভাগে হিসাব করে এবারের কোরবানে ৫টি গরু দিয়ে তারা ৩৫ জন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, গত চার বছর ধরে ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে এই ব্যবস্থা করে আসছেন তিনি। এবার যারা ভাগায় পশু কিনেছেন তারা সবাই নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। প্রতি শরিক ২৪ হাজার ৫০০ টাকার ভাগায় মাংস পাওয়া যাবে ২৩–২৫ কেজি। আবার একই দামে বন্ধ্যা গাভীর একটি ভাগায় মাংস পাওয়া যাবে ২৫–২৮ কেজি। ভাগা কিনলে ক্রেতাদের জন্য পশু জবাই করে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শরীয়তসম্মত উপায়ে পশু জবাইয়ে হুজুর ও ভাগার মাংস নির্ধারণের জন্য প্রশিক্ষিত কসাই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পশু জবাইয়ের জন্য নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার একটি ক্লাবও ভাড়া নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্ডার বেশি থাকলেও প্রতিবারের ন্যায় মাত্র ৭টি গরু ভাগা দামে বিক্রি করা হয়েছে, যাতে দুপুরের আগেই ক্রেতাদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া যায়।
খামারি নজরুল ইসলাম জানান, তিনি শুধু ভাগায় পশু বিক্রি নয়, সারা বছর ধরে সপ্তাহে দুই–তিনটি পশু জবাই করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাংস পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, এবার কোরবানির ঈদে মোট ৭৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। খামার থেকে ৬৩টি গরু বিক্রি করেছেন। এগুলোর সর্বনিম্ন দাম ৪২ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ১২টি গরু গোচরা বাজারে বিক্রি করেছেন। সীতাকুণ্ড, হালিশহর, নিমতলা, বালুছড়া ও চন্দনাইশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনলাইনে গরু বুকিং দিয়ে খামার থেকে এসব পশু কিনেছেন।
ভাগায় পশু বিক্রির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রেতারা। নুরুল আনোয়ার নামে একজন ক্রেতা জানান, গ্রামে প্রতিবেশীদের সাথে ভাগায় কোরবানি দেয়ার সুযোগ থাকলেও নগর জীবনে এই সুযোগ কম। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের কারণে দুঃশ্চিন্তা দূর হয়েছে।