মামা–মামী মাত্র এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় আপন ভাগিনাকে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে মামা–মামীকে। এছাড়া নরসংিদী থেকে উদ্ধার করা হয় বেচে দেয়া ওই শিশুকে।
ধৃতরা হলেন ওই শিশুর মামা ভোলার মনপুরা উপজেলার ভাসানখালী গ্রামের মুজিবুর রহমান মজিদ ও তাঁর স্ত্রী আরজু বেগম। এ ঘটনায় জড়িত নরসিংদী সদর উপজেলার বগারগোত এলাকার আবুল কালামকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত মজিদ গতকাল মঙ্গলবার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, গত শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোড থেকে আপন বোনের শিশুপুত্রকে অপহরণ করে মজিদ। সন্তান না পেয়ে সোমবার কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন মা নূপুর আক্তার। পুলিশ ওই দিন রাতেই কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে মজিদ ও আরজুকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তথ্য অনুযায়ী নরসিংদী সদর উপজেলার বগারগোত এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে অপহরণের পর আবুল কালামের মাধ্যমে এক লাখ টাকায় নরসিংদীর এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়।