দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর একটি শাখা খাল ভারট করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশ ঘেঁষে বয়ে যাওয়া হালদা সংযুক্ত এ শাখা খালটি (স্থানীয় নাম চুইল্ল্যা খালী) ভরাট করে পানির গতিপথ বন্ধ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কেউ চাইলে জলাধার ভরাট করতে পারেননা বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন।
হালদা নদীর শাখা খাল ভরাটের ফলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়ার আশাঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০-এর ৬-এর ঙ ধারায় বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। কিন্তু রাউজানে এই আইন লঙ্ঘন করে হালদা নদীর শাখা খাল ভরাট করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জাান যায়, হালদা নদী সংযুক্ত একটি শাখা খালের রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মইশকর গ্রামে বাঁশের খুঁটি গেড়ে বালু-মাটি ভর্তি বস্তাদিয়ে বেঁড়িবাধ তৈরি করে খাল ভরাট করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় একটি বাণিজ্যিক বহুতল ভবনের এক প্রভাবশালী মালিক বেশ কয়েকজন হালদা নদীর শাখা খাল ভরাট করেছেন। এতে পানি প্রবাহের পথ সংকোচিত হয়ে গেছে। এর ফলশ্রুতিতে টানা বর্ষণ কিংবা জোয়ারের পানিতে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, আইন অনুযায়ী কেউ খাল বা জলাধার ভরাট করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করতে পারে না। উরকিরচরে খাল ভরাটের কোনো তথ্য পায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে খাল ভরাটের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।