বিশ্ব নদী দিবস আজ। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে দিবসটি পালন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে রিভারাইন পিপল নামের একটি সংস্থা এ দিবস পালন করে আসছে। তবে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্ব নদী দিবস পালন করতে শুরু করে ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি। ২০০৫ সালে জাতিসংঘ দিবসটি অনুসমর্থন করে।
এদিকে প্রতিবছর নদী দিবস পালন হলেও চট্টগ্রামের নদীগুলো মনুষ্য ও প্রাকৃতিক সৃষ্ট নানা সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– অবৈধ দখল, ভরাট ও দূষণ। চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য চারটি নদী হচ্ছে– কর্ণফুলী, হালদা, সাঙ্গু ও ইছামতি। এর মধ্যে পলিথিনের স্তর জমেছে কর্ণফুলীর তলদেশে। কর্ণফুলীর মত দূষণের কবলে আছে হালদা নদীও। এছাড়া দখলসহ মনুষ্য সৃষ্ট আরো নানা প্রতিবন্ধকতা এ নদীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দখল, ভরাট ও দূষণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে নদীটি। ‘বাংলার আমাজান’ খ্যাত সাঙ্গু নদীও ভরাট ও দখলদারের কবলে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি নদীও একই সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে নদী রয়েছে ৬০টি। চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর মধ্যে কর্ণফুলীর দৈর্ঘ্য ১৬১ কিলোমিটার এবং হালদার দৈর্ঘ্য ১০৬ কিলোমিটার।
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে, মেঘনা নদী, আরচি, উত্তর আকালিয়া, কাকরী, কাঠালিয়া, কামতা, খিরাই, কালা ডুমুর, ক্ষিরাই, পুংগাজুর কোদালিয়া, গুণী, গোঙর, গোবিন্দপুর, গোমতী, ঘুংঘুর, চর কুমারিয়া, ছোট ফেনী, ডাকাতিয়া, তুলশিঘাটা, ধনাগোদা, পাগলী, পুরান বাতাকান্দি, মধুকুপি, মধুমতি, শুভানগর, সরস্বতী, সিদ্ধেশ্বরী ও সোনাইছড়ি, তিতাস, পুটিয়া, বড়ইচারা, বিজনা, বুড়ি, মধ্যগঙ্গা, লাখু, হরল, সিংড়া, কহুয়া, মুহুরী ও সিলোনিয়া, হাতিয়া নদ, গজারিয়া, ভুলুয়া, কুহেলিয়া ও উখিয়া–টেকনাফের নাফ নদী, বাঁকখালী, চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদী, ইছামতি, রাইংখিয়ং, কাচালং ও কাপ্তাই লেক, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদী।