‘একতরফা’ নির্বাচনের জন্য সরকার দেশে ‘ভয়াবহ কিছু ঘটাতে’ নীল নকশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজকে এই সরকার পরিকল্পনা করছে যে–এদেশে ভয়াবহ কিছু ঘটিয়ে যাতে করে নির্বাচনে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করা যায়। যেমন করে অতীতে নির্বাচন করেছে, সেইভাবে আরেকটা নির্বাচন কীভাবে করে নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে তারা এগোচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন ফখরুল। আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথ সভায় বসেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
অস্ত্রসহ ছাত্রদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আবার অতীতের মতো সেই একই কায়দায় তারা (সরকার) শুরু করেছে। আমাদের ছাত্রদলের নেতাদের হাতে অস্ত্র দিয়েছে। সেই অস্ত্রগুলো আপনারা দেখেছেন ছবিতে। এগুলো তাদের রেখে দেওয়া অনেক পুরনো অস্ত্র, সেগুলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে ছবি–টবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা এই অস্ত্র ব্যবহার করবে, ব্যবহার করে তারা গোলযোগ সৃষ্টি করবে এবং বিএনপির ওপর দোষ চাপাবে।
‘বিএনপি দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে’–আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি এজন্য বর্তমান সরকারকেই দায়ী করেন। বর্তমান ঋণ খেলাপির তথ্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বর্তমান সরকার শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের পর সেখানে গেছে জাতীয় পার্টিও। প্রতিবেশী দেশে তাদের দলের যাওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা– এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, বিএনপি এখনও এতটা দেউলিয়া হয়নি যে এত দূরে গিয়ে রাজনীতি করতে হবে। …সুতরাং কে ক্ষমতায় আসলে কী হবে না হবে–এসব চিন্তা করে যারা কিছু বলে, সেটার মধ্যে আমরা নাই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ধরনের যে বিষয়টা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের কূটনৈতিক বার্তা শিরোনাম) বলা হচ্ছে, এটার তো কোনো সূত্রই তো নাই। ভারতের সরকার কি বলেছে যে-‘আমরা এটা করেছি’ বা আমেরিকান গভর্মেন্ট বলেছে কি এই ধরনের একটা চিঠি ইন্ডিয়া দিয়েছে? তাহলে এটাকে নিয়ে এত মাতামাতি করার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাই না। এটা মিডিয়া হাইপ তারা তুলে ধরছে। জাস্ট এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য। এখন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায় এবং সেই নির্বাচনটা চায় একেবারে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এই কারণে আজকে এটাকে ডাইভার্ট করে অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।