কাট্টলীর মরিয়ম ভিলায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ছয়জন হতাহতের ঘটনায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ভবন মালিক মমতাজ মিয়া ও ভবনের ইনচার্জ বখতেয়ারকে গতকাল আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহির।
তিনি বলেন, যে ফ্ল্যাটে আগুন লাগে সেখানে গ্যাসে লিকেজ ছিল। বিষয়টি একাধিকবার মমতাজ মিয়া ও বখতেয়ারকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে তাদের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের স্বামী জামাল শেখ আমাদের জানিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রক্ষা পাওয়া রিমন শেখ গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জানান, গ্যাসের গন্ধ পেয়ে বাড়ির ইনচার্জকে এক সপ্তাহ আগে জানিয়েছি। তাকে বাসায় এসে গ্যাসের লিকেজের বিষয়টি দেখার অনুরোধ করি। তিনি এসে দেখে বলেন, এটি কোনো সমস্যা নয়। দুর্ঘটনার দুই দিন আগে কেয়ারটেকারকে গ্যাস লিকেজ হওয়ার বিষয়টি আবারও জানিয়েছি। তাকে বলেছি, গ্যাসের গন্ধটা আরও বেশি হচ্ছে। কেয়ারটেকার আবারও আমাদের অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে সমস্যা নেই বলে চলে যান।
এদিকে গতকাল সকালে ভবনের মালিক মমতাজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাসের লাইনের কোথাও ত্রুটি ছিল না। এখানে যারা থাকেন তাদের অসাবধানতার কারণে ঘটনা ঘটেছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিস) রওনাকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, রাতেই আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাসের রাইজার বন্ধ করে দেয়। সকালে আমাদের টিম তদন্তে আবারো স্পটে গেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, কোনো কারণে গ্যাসের চুলা নিভে গিয়েছিল। এতে পুরো ঘর গ্যাস চেম্বার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে লোকজনকে সচেতন হতে হবে। তারা সচেতন না হলে করার কিছু নেই। ভবনে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জানালা খুলে দিতে হবে।