সরকারি চাকরিতে বয়সের নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান। পিআরএল (অবসরোত্তর) ছুটি চেয়ে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছেন তিনি। আবেদনের তথ্য আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন চমেক অধ্যক্ষ। চাকরির বয়স পূর্ণ না হলেও পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে আগেই অবসরে যেতে আবেদন করেছেন বলে জানান অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের (২০১৯ সালের) ৯ নভেম্বর চমেক অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান। যদিও দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ১১ নভেম্বর। এর আগে ৫ নভেম্বর (২০১৯ সালের) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে অধ্যক্ষের পদ থেকে অবমুক্ত করে ফার্মাকোলজির অধ্যাপক পদে পদায়ন করা হয়। আর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. শামীম হাসানকে। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পার-১ অধিশাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা হয়। তবে বদলির আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই সময় রাস্তায় নেমে আসেন চমেক শিক্ষার্থীরা। অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বদলির আদেশ প্রত্যাহার ও তাকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনসহ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন চমেক শিক্ষার্থীরা। চাকরির বয়স মাত্র এক বছর বাকি থাকতেই রহস্যজনক কারণে অধ্যক্ষের পদ থেকে বদলি করা হয় ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে। যদিও দীর্ঘ ৯ বছর ধরে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
অন্যদিকে, চাকরির এক বছর বাকি থাকতেই স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে আবেদন করেছেন বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান। আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে বর্তমান অধ্যক্ষের পিআরএল ছুটি কার্যকর হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
দুটি ঘটনার পিছনেই রাজনৈতিক প্রভাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন- কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ইন্ধনের কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে, যা চিকিৎসক-শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক।