‘যারা পরীক্ষিত অভিনয়শিল্পী, মূলত আমি তাদের নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করি। এতে যেমন সময় কম লাগে, তেমনি ভালো অভিনয় পাওয়া যায়। দর্শকও কাজটি দেখে তৃপ্ত হন। ‘স্ফুলিঙ্গ’ ছবির কাস্টিং প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। শুটিং এরমধ্যে শেষ। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। মুক্তির তারিখও চূড়ান্ত। এরমধ্যে পাওয়া গেল নতুন খবর। ছবির অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ! হুম, চিরকুট ব্যান্ডের প্রাক্তন। যিনি এবারই প্রথম হাজির হচ্ছেন বড় পর্দায়। নির্মাতা তৌকীর আহমেদের প্রাথমিক বয়ানের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তো! পাবেন, পিন্টুর বয়ানে। দেশের অন্যতম এই সংগীতশিল্পী বলেন, সিনেমায় এটা আমার প্রথম অভিনয়। তবে এর আগেও বেশ ক’টি উল্লেখযোগ্য নির্মাতার সঙ্গে নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবুও বলছি, আমি অভিনয়ের কিছুই জানি না। ভাগ্যক্রমে কিছু কাজ করেছি মাত্র। তৌকীর আহমেদের মাধ্যমে সিনেমাভিনয়ে পিন্টু ঘোষের অভিষেক হলেও শুরুটা হয় ২০০৫ সালে গোলাম সোহরাব দোদুলের নাটক ‘কৃষ্ণগহ্বর’ দিয়ে। এরপর কাজ করেছেন একই নির্মাতার ‘আগন্তুক’ এবং গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কেউ কেউ মৃত জোনাকি’ নাটকে। ফলে সিনেমায় অভিষেকের জন্য অভিনয়ের রিহার্সাল মন্দ হয়নি এই জাত মিউজিশিয়ানের। পিন্টু বলেন, আমি মূলত মিউজিকটাই করার চেষ্টা করি। অভিনয়ের বিষয়টি একেবারেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা ঠিক, এ পর্যন্ত যে কটি নাটক করেছি অসম্ভব গুণী নির্মাতাদের সঙ্গ পেয়েছি। আর তৌকীর ভাইয়ের সঙ্গে শেষের কাজটা তো নিজের বলেই দাবি করছি। কাজটির জন্য খুব অল্প সময় পেয়েছি। তবে প্রজেক্টটির সঙ্গে মিশে গেছি সবাই। পুরো টিম মিলে অভিনয়-মিউজিকের কাজটি করেছি। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ‘স্ফুলিঙ্গ’র সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন পিন্টু ঘোষ। এতে তারসঙ্গে আছেন রোকন ইমন। দুজনে মিলে নির্মাতার সমর্থন নিয়ে সিনেমার জন্য নতুনকরে বেঁধেছেন জর্জ হ্যারিসনের ‘বাংলাদেশ’ গানটি। থাকছে প্রেম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়েও গান।