ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বড়দারোগাহাট ও দাউদকান্দিতে ওজন পরিমাপক স্কেল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঈর্ষণীয় অবদান ও সাফল্য রেখে চলেছে। চট্টগ্রামের এ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবদান অনস্বীকার্য। সারাদেশে এখন চট্টগ্রামকে ঘিরে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক বলয় তৈরি হয়েছে। দেশের মুষ্ঠিমেয় এক শ্রেণী অসাধু ব্যক্তি বরাবরই চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ প্রদর্শন করে আসছে। সমগ্র দেশে ৩৫টি মহাসড়ক বিদ্যমান থাকলেও ৩৪টি মহাসড়ককে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন পরিমাপক স্কেল স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে ১৩ টনের ঊর্ধ্বে কোনো মালামাল চট্টগ্রাম থেকে দেশের অন্যত্র সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল চরম আর্থিক ক্ষতি ও শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চালিকাশক্তির প্রবেশদ্বার। অথচ ওজন পরিমাপক স্কেল যন্ত্র স্থাপন করে চট্টগ্রামের বহুমুখী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে। এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার পক্ষ থেকে দেশে অবশিষ্ট ৩৪টি মহাসড়কে ওজন পরিমাপক স্কেল স্থাপন না করা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন পরিমাপক স্কেল অপসারণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আকবর, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খুরশিদ আলম, বিপণী বিতান মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও গোলাম রসুল মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর, অর্থ সম্পাদক এস.কে রফিক আহম্মদ ও সদস্য মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












