রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর ক্ষুব্ধতা ও পরিকল্পিত বাজেট কাটছাঁটের প্রতিবাদে ফ্রান্সজুড়ে ‘ব্লক এভরিথিং’ প্রতিবাদ পালিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার দেশটির রাজধানী প্যারিসসহ ও অন্য শহরগুলোতে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় রাস্তায় আবর্জনার বিনগুলোতে আগুন ধরিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়েছে আর কখনো কখনো পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় কোনো প্রতিবন্ধক বসালে তা যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিকল্পিত দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলার মধ্যেই এ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাত্র দু দিন আগে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু। সরকারের ব্যয় কমানো এবং ঋণের বোঝা সামাল দেওয়ার পরিকল্পনার মধ্যেই ক্ষমতা হারাতে হয় তাকে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এবার তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘনিষ্ঠ মিত্র সেবাস্তিয়ান লেকোর্নুর নাম ঘোষণা করেছেন। এতে বামপন্থি রাজনীতিকরা ক্রুদ্ধ হয়েছেন। প্যারিসে একটি হাইস্কুলের কাছে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড বসায়। সেখান বিভিন্ন বস্তু জড়ো করে সেগুলোতে আগুন লাগায় তারা। দমকলকর্মীরা জ্বলন্ত ওই বস্তুগুলো সরিয়ে নিয়েছে। প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে, তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভরতদের মধ্য থেকে ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্যারিসের এক প্রতিবাদকারী বলেন, এটি একই আবর্জনা, একই, মাক্রোঁই সমস্যা, মন্ত্রীরা না। মন্ত্রীরাও সমস্যা, কিন্তু মাক্রোঁ ও তার কাজের ধরন আরও বড় সমস্যা। এর অর্থ তাকে যেতে হবে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নানতে প্রতিবাদকারীরা জ্বলন্ত টায়ার ও বিন দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এই শহরের একটি গোলচত্বর দখলের চেষ্টারত লোকজনকে হটাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় মঁতেলিয়ে শহরে একটি চৌরাস্তায় বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড বসানোর পর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধ্বস্তি হয়। এখানে এক প্রতিবাদকারীর হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, মাক্রোঁ পদত্যাগ কর।








